দুর্নীতি মামলায় গিয়াস উদ্দিন মামুনের ১০ বছরের সাজা বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল

গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিলে হাইকোর্টের রায় রহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে তার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনের তিন বছরের কারাদণ্ড বাতিলের রায়ও বহাল রাখা হয়েছে।

মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০১৫ সালের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামুন এবং তার স্ত্রী শাহিনার দায়ের করা রিভিউ আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০০৮ সালের ২৭ মার্চ অবৈধভাবে ১১১ কোটি ৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মামুনকে ১০ বছর ও তার স্ত্রীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত।

মামুন ও শাহিনার করা পৃথক দুটি আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেন।

এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি আপিল করে দুদক।

দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মামুন ও শাহিনার আপিলের পুনরায় শুনানি করতে বলে।

পরে মামুন ও শাহিনা ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন।

মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, হাইকোর্ট মামুনকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে, কারণ দুদকের তৎকালীন সচিব দেলোয়ার হোসেন, যিনি মামুনকে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে সম্পদের বিবরণী চেয়েছিলেন। যদিও এটি করার তার অনুমতি ছিল না। ওই অবৈধ নোটিশের ভিত্তিতে মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাটি বেআইনি প্রমাণিত হয়।

কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না করেই শাহিনা ইয়াসমিনকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগে হাইকোর্ট তাকে খালাস দিয়েছে।

মামুন ও তার স্ত্রীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আসিফ হাসান।

Comments