ড. ইউনূসের লিভ টু আপিলের শুনানি সোমবার

গ্রামীণ টেলিকম ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের প্রায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ড. ইউনূস এবং অন্য ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
স্টার ফাইল ফটো

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ছয় জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার অভিযোগ গঠন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি সোমবার পর্যন্ত পিছিয়েছেন আপিল বিভাগ।

গ্রামীণ টেলিকম ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের প্রায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে ড. ইউনূস এবং অন্য ১৩ জনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩০ মে দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

আদালতে এই মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের ছয় জন হাইকোর্টে আবেদন করলে গত ২৪ জুলাই তা সরাসরি বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে আদেশ দেন হাইকোর্ট

হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস ও অন্য ছয় জন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ এর শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

পিটিশনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন আদালতকে জানান, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪৯৪ ধারার অধীনে মামলাটি প্রত্যাহার করেছে।

দুদকের আইনজীবী একেএম ফজলুল হক আপিল বিভাগকে বলেন, দুদকের দায়ের করা মামলা সরকার প্রত্যাহার করতে পারে না।

এর পরই আদালত আগামী সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত করেন। সেদিন মামলাটি প্রত্যাহার করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র আইনজীবীকে উপস্থাপন করতে বলেন আপিল বিভাগ।

এই মামলায় গত ১২ জুন ঢাকার একটি আদালত ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অপর ১৩ আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, পারভিন মাহমুদ, এম শাহজাহান, নুরজাহান বেগম ও এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মইনুল ইসলাম, জাতীয় ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান এবং আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও মো. ইউসুফ আলী।

Comments