লামায় ২৫ রাবার শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ

লামার একটি রাবার বাগান। স্টার ফাইল ফটো

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর কয়েকটি রাবার বাগান থেকে ২৫ শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার দুপুরে ফাঁসিয়াখালির গয়ালমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

লামার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মঈন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, 'ঘটনাটি ঘটেছে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা। সেখানে নেটওয়ার্কও নেই। অপহৃতদের উদ্ধারে প্রশাসনের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।'

অপহৃতদের মধ্যে মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. সিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আব্দুল মাজেদ, মনিরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, মো. মোবারক, মো. হারুন, সৈয়দ নুর, রমিজ উদ্দিন, মো. কায়ছার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান, মঞ্জুর, আফসার আলী, মো. খাইরুল আমিন, আবু বক্কর, আবদুর রাজ্জাক ও মো. মবিনের নাম জানা গেছে। তারা কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক সপ্তাহ আগে লামা ফাঁসিয়াখালী-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মুরংবাজার এলাকার রাবার বাগানগুলোতে কে বা কারা চাঁদা দাবি করে লিফলেট ঝুলিয়ে দিয়ে যায়। এরপর এ অপহরণের ঘটনা ঘটল।'

লামার ফাঁসিয়াখালী মৌজার হেডম্যান চংপাট ম্রো ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্বৃত্তরা অপহরণের পর শ্রমিকদের মুক্তির জন্য ছয় লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানতে পেরেছি।'

লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আনোয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেকগুলো রাবার বাগানের কিছু অংশ লামায় পড়ছে, কিছু অংশ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পড়েছে। সেসব এলাকায় যৌথ অভিযান চলমান আছে।'

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, 'কে বা কারা অপহরণ করেছে তা এখনো জানা যায়নি।'

উল্লেখ্য, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে গত ১৪ জানুয়ারি ৩ জন ও ১ ফেব্রুয়ারি ৭ শ্রমিককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে টাকার বিনিময়ে তারা মুক্তি পান।

Comments

The Daily Star  | English

Tribute to July uprising: Drone show lights up Dhaka's sky

In 12 vivid motifs, the July uprising came alive, tracing the heroism of Abu Sayed and the stirring role of women in the movement

13h ago