স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীর সামনে এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বড় কুশিয়াড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ বাবুল মিয়া কুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
নিহত বাবুল মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ দুপুরে আমি ও আমার স্বামী আকশীরনগর হাউজিংয়ের ভেতর সরিষা মাড়াই করছিলাম। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনিরসহ আরও ৪-৫ জন লাঠি ও পাইপ দিয়ে আমার সামনে আমার স্বামীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ও চোখ উপড়ে দেয়।'
'আমি ও এলাকার লোকজন আমার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা বাধা দেয়। একসময় আমার স্বামী নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা চলে যায়। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন,' বলেন ইয়াসমিন।
তিনি জানান, বাবুল মিয়া তিন বারের ইউপি সদস্য ছিলেন ও বিএনপির রাজনীতি করতেন, রাজনৈতিক মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন।
ইয়াসমিন বলেন, 'এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আকশীরনগর হাউজিং নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। আমার স্বামী কোনো পক্ষেই ছিলেন না। এরপরও স্থানীয় সন্ত্রাসী আফসার, আরশাদ, মনির আমাকে ও আমার স্বামীকে হত্যার পায়তারা করছিল।'
এনাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এজাজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাথায়, চোখে, মুখে ও পায়ে গুরুতর আঘাত নিয়ে বাবুলকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন।'
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি পুকুর নিয়ে বাবুলের সঙ্গে আফসার, আরশাদ ও মনিরদের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধ থেকেই বাবুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পূর্ব বিরোধের জেরে বাবুলকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অপরাধীদের আটকের চেষ্টা চলছে।'
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত মুরাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবুল বিএনপির মিটিং-মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি বিএনপি সাপোর্ট করতেন এটা জানি। তার চেয়ে বড় কথা হলো তিনি তিন বার ইউপি সদস্য ছিলেন।'
Comments