ধর্ষণের মামলার পর বাবার মরদেহ উদ্ধার: পরিবারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন

বরগুনায় মন্টু দাসের বাড়িতে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনায় স্কুলশিক্ষার্থী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার ছয় দিনের মাথায় বাবার মরদেহ পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বরগুনা পৌরসভার করইতলা এলাকায় সেই মন্টু দাসের বাড়িতে সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে পুলিশ।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর বাবা মন্টু দাসের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার হাইকোর্ট পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, হাইকোর্টের আদেশে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পরিবারটির নিরাপত্তায় একজন এএসআইয়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের পুলিশ টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ।

১১ মার্চ দিবাগত রাতে বরগুনা পৌরসভার করইতলা এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার ছয় দিন আগে সপ্তম শ্রেণির মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় সজীব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন মন্টু। সেদিনই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্টুর মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর ১২ মার্চ বরগুনা সদর থানায় তার স্ত্রী শিখা রানী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। ওই দিনই পুলিশ সন্দেহভাজন চার জনকে আটক করে। এদের মধ্যে তিন জনকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যজনের মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে মন্টু দাসের বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt declares 10-day Eid holiday starting June 5

Offices to remain open on two weekly holidays— May 17 and 24—to offset Eid vacation

50m ago