খিলক্ষেতে পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ২

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা হলেন—মোবারক হোসেন সজীব ও ইউসুফ আলী।

আজ বুধবার খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'দায়িত্ব পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে মারধর করছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই কিশোরকে পিকআপ ভ্যানে করে থানায় নেওয়ার সময় খিলক্ষেত বাজারে শতাধিক লোক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন, পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান, তিনজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন কনস্টেবল ও গাড়িচালক আহত হন।

ইতোমধ্যে ওই শিশুর বাবা কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

ওসিসির সমন্বয়কারী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছেন যে, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

'আজ সকালে শিশুটির ফরেনসিক, এক্স-রে এবং আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এখন শিশুটির অবস্থা ভালো আছে। শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে এটি প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে,' বলেন তিনি।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আহত কিশোর পুলিশ হেফাজতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডের চিকিৎসা কর্মকর্তা শিশির কুমার ঘোষ বলেন, 'ওই কিশোরের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথায় আঘাত রয়েছে। তবে মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়নি। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।'

হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় তার বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করা হলেও, স্বজনদের দাবি ওই কিশোরের বয়স হবে ১২ থেকে ১৩ বছর।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

5h ago