অর্থ আত্মসাৎ: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড

গ্রাহকের পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির সাবেক চেয়ারপারসন শামীমা নাসরিনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান তাদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট তার রায়ে বলেন, তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে এ শাস্তি কার্যকর হবে।
এর আগে এই দম্পতির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে উল্লেখিত সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক গ্রাহক প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ এনে একই আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযোগকারী ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও অর্ডার করার ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল ডেলিভারি দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। পরিবর্তে, সংস্থাটি তাকে একটি চেক সরবরাহ করেছিল, যা পরে ব্যাংক প্রত্যাখ্যান করেছিল বলে মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আরেক গ্রাহকের কাছ থেকে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় এই দম্পতিকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক বাউন্স মামলায় রাসেল ও শামীমাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালত।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর প্রতারণার মামলায় রাসেলকে দুই বছর ও শামীমাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শামীমা ২০২২ সালের এপ্রিলে এবং রাসেল ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান।
Comments