সাবেক মন্ত্রী তাজুলের ৭৬৭ কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ৩৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ৭৬৭ দশমিক ৬৭ কাঠা স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
তাজুল ইসলামের এসব সম্পত্তি ঢাকা, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে। এছাড়া কুমিল্লায় তার দুটি ফ্ল্যাট ও একটি তিনতলা ভবনও বাজেয়াপ্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ২১ কোটি ২৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, দুদক তাজুলের নামে বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৬৬০টি শেয়ারের সন্ধান পেয়েছে।
তাজুলের সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ চেয়ে দুদকের উপসহকারী আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ আদালতে আবেদন করেন।
আদালত সাবেক এই মন্ত্রীর মালিকানাধীন তিনটি গাড়ি জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছেন। দুদক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছে যে তাজুল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন।
গত ২২ জানুয়ারি তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, তাজুলের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের তদন্তে তার ৪৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সম্পদের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যাখ্যা নেই।
এছাড়া, তার ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে।
তাজুলের স্ত্রী ফৌজিয়ার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের তদন্তে দেখা গেছে তার মোট সম্পদের মূল্য ১৪ কোটি ২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৭ কোটি ১২ লাখ টাকা বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে, বাকি ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার ব্যাখ্যা নেই। এছাড়া, তার ১১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৭ কোটি ১১ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন পাওয়া গেছে।
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর একই আদালত এই বিষয়ে আবেদন দাখিলের পর তাজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
Comments