‘মায়ের ডাক’ সমন্বয়ক সানজিদার বাসায় পুলিশি অভিযান

ঢাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীসহ নিহত ২
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

গুম ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলির বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানার পুলিশ এ অভিযান চালায়।

পুলিশ বলছে, সানজিদার ভাই সাজেদুল ইসলাম সুমনকে খুঁজতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।

অথচ সানজিদা জানান, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে র‍্যাব সদস্যরা সুমনকে তুলে নিয়ে যায় এবং এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।

সানজিদা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তেজগাঁও থানার পুলিশ জানতোই না যে, সুমন ১২ বছর আগে গুম হয়েছিল। তারা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে এসেছিল।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছরে আমাদের পরিবার কখনো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে কোনো সহায়তা পায়নি।'

'আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছি, সেটির তদন্ত চলমান। তাহলে পুলিশ জানবে না কেন?'

জানতে চাইলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা আমাদের ভুল। আমরা শুধু আদালতের আদেশ পালন করছিলাম। নিখোঁজ সুমনের আগের ঘটনা জানতাম না।'

তিনি বলেন, 'আদালতের নথি অনুযায়ী, একটি ফৌজদারি মামলায় ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর সুমনের সাজা হয়। তখনো তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে নিখোঁজ।'

২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৩ সালের গাড়িতে আগুন দেওয়ার এক মামলায় সুমনকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৩ সালের ২৫ মে ওই মামলা করা হয়। সুমন ওই বছরের ডিসেম্বরে গুম হওয়ার পর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার পরিবারের সদস্যদের উদ্যোগে 'মায়ের ডাক' সংগঠন যাত্রা শুরু করে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন নিখোঁজ সুমনের দুই বোন—সানজিদা ইসলাম তুলি ও আফরোজা ইসলাম আঁখি।

এদিকে পরোয়ানা নিয়ে সুমনের বাসায় যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

ডিএমপি উপকমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago