রাতে জবাই হতো অসুস্থ ছাগল-ভেড়া, দিনে বিক্রি হতো রেস্টুরেন্টে

রংপুরে এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫৫ কেজি পচা কলিজা, ফুসফুস, ভুড়িসহ খাবার অনুপযোগী মাংস জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এসব মাংস তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস করা হয় এবং অভিযুক্তকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের উত্তর ঘনিরামপুর গ্রামে জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন তারাগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা। তাকে সহায়তা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইফতেখায়রুল ইসলাম এবং তারাগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রাতে অসুস্থ ছাগল ও ভেড়া জবাই করে হোটেল-রেস্টুরেন্টে মাংস সরবরাহ করতেন। এসব মাংস প্রক্রিয়াজাত হতো সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ও অমানবিক পরিবেশে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন রাত ২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে ওই বাড়িতে জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলত। অভিযানে প্রায় ৩০ কেজি পচা কলিজা, ফুসফুস ও মাথার অংশ এবং ২৫ কেজি পচা ভুড়ি জব্দ করা হয়।
মাংসগুলোতে দুর্গন্ধ ছিল এবং তা খাওয়ার সম্পূর্ণ অযোগ্য বলে জানায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে ইউএনও রুবেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আইন অনুযায়ী অভিযুক্তকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এ ধরনের অনৈতিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।'
Comments