নির্বাচনে অনিয়ম মামলা: সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর

গত ২৭ জুন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। স্টার ফাইল ছবি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। 

জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার তার জামিন আবেদন করেছিলেন আইনজীবী।

৪ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে আদালতে হাজির করা হলে, তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এর আগে, গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকায় নিজ বাসভবনে জনরোষের মুখে পড়েন নুরুল হুদা। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২৩ জুন আদালত তাকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান।

এরপর ২৭ জুন আবারও আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় সাবেক তিন সিইসি—কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালে একাদশ এবং ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের নেতাসমর্থকদের মিথ্যা মামলা, অপহরণ ও হুমকি দিয়ে টার্গেট করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য অনেককে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হয়েছে।

বিএনপির ভাষ্য, এই মামলার আসামিরা তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নামও রয়েছে।

মামলার আসামিদের মধ্যে আরও রয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী ও শহিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার বেনজীর আহমেদ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম। একইসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক প্রধানকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

বিএনপি বলেছে, এই ব্যক্তিরা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপির জন্য দায়ী।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago