চট্টগ্রামে সালিশ বৈঠকে একজনকে ‘পিটিয়ে’ হত্যার অভিযোগ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় এক ব্যক্তিকে (৫৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

আজ রোববার হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাউসার মো. হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের খুঁজছে।

সূত্র জানিয়েছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে শুক্রবার উপজেলার চৌধুরী হাট এলাকার সন্দীপ কলোনিতে সালিশ বৈঠকে ওই ব্যক্তি আহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে ওই ব্যক্তি হাটহাজারী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তাতে অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে রিফাত নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে করে।

জিডির পর পুলিশ নোয়াখালী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির আত্মীয় ও রিফাতের পরিবারের লোকজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে বসেছিল। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। মারধরে মেয়ের বাবা আহত হন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোববার নিহত ব্যক্তির বাড়িতে প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম ডেইলি স্টারকে জানান, বৈঠকে সমাজের নেতারা বলেছিলেন, মেয়ে যদি ছেলেটির সঙ্গে যেতে রাজি থাকে, তাহলে পরিবার তাকে অনুমতি দেবে। এ কথা নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেছি। বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আমি মেয়েটির বাবাকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখি। এরপর সবাই তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

প্রতিবেশী আল আমিন বলেন, 'ছেলেটির খালা এখানে থাকেন, তার পরিবার থাকে নোয়াখালীতে। ছেলেটি মাঝে মাঝে এখানে আসতো, আর সেভাবেই মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয়।'

সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ছেলেপক্ষের প্রায় ৫০-৬০ জন লোক জড়ো হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।

মেয়েটি স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

তার স্কুলের পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, 'তিনি কাউকে জোর করে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে দেখেননি।'

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago