পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে কৌশলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে কৌশলে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসেনি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নানা ধরনের বাহানা, নানা ধরনের দাবি তুলে নির্বাচন বর্জন করার কৌশল বের করেছে।

তিনি আরও বলেন, তাদের উপলব্ধিতে এসেছে এ দেশের মানুষ তাদের ভোট দেবে না, তখনই তারা বর্জন শুরু করেছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মনিপুরীপাড়ায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের মানুষ বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '২০১৮ সালে নির্বাচনে তারা ছয়টি আসন পেয়েছিল। তাদের পরাজয় সুনিশ্চিত ভেবে; তাদের উপলব্ধিতে এসেছে এ দেশের মানুষ তাদের ভোট দেবে না, তখনই তারা বর্জন শুরু করেছে, নানা ধরনের বাহানা, নানা ধরনের দাবি তুলে নির্বাচন বর্জন করার কৌশল বের করেছে।

'সেই ২০১৪ সালে তারা যেভাবে হত্যা করেছে, আগুন দিয়ে মানুষের সম্পদ পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে, সেই কাণ্ডটি আবার শুরু করেছে তারা। এ দেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। এ দেশের মানুষ আলোকিত থাকতে চায়। সে জন্য কোনো ভয়-ভীতিতে ভীত না হয়ে সুন্দরভাবে সারা বাংলাদেশে আজকে ভোট দেবে এবং নতুন একটি সরকার শিগগির আপনারা দেখবেন,' বলেন তিনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে, সুন্দরভাবে হয়েছে কি না সেটা হলো দেখার বিষয়।'

আসাদুজ্জামান বলেন, 'বিএনপি কেন আসেনি আগেই আমি বলেছি, এ দেশের মানুষ কোনোদিন জঙ্গিবাদকে বিশ্বাস করে না, সন্ত্রাসকে বিশ্বাস করে না, অগ্নি সন্ত্রাসকে তারা ধিক্কার দিচ্ছে। তারা (বিএনপি) সুনিশ্চিত, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে পারবে না। কাজেই সব সময় তারা একটা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশে তাদের প্রভুদের ইনফ্লুয়েন্স করে একটা নতুন কিছু ঘটানোর চেষ্টা তারা সব সময় করেছে।

এগুলোর ইতিহাস যদি দেখেন, সব সময় তারা এ ষড়যন্ত্রগুলো করে আসছে। কখনো মাসল-পাওয়ারে, কখনো গান-পাওয়ারের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এবার তারা কোনো ক্রমেই জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারবে না, এ জন্য (নির্বাচন বর্জন) এ পথটি বেছে নিয়েছে।

ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরের কথা যদি বলতে হয়, এই শহরের লোক কখনো কলাবাগান থাকেন, কখনো মনিপুরীপাড়ায় থাকেন, কখনো মনিপুরীপাড়া থেকে উত্তরায় চলে যান। মাইগ্রেশন হয় ঢাকায়।

'আমাদের এই এলাকায় শিল্পাঞ্চল ছিল, আমাদের এই এলাকায় হাতিরঝিল ছিল। সেই জন্য আমাদের এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণ মাইগ্রেট হয়েছে। বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, আমি মনে করি এরা (ভোটার) আসবে। যতই সময় যাবে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে,' যোগ করেন তিনি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২১টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগে আমরা দেখলাম আগুন সন্ত্রাস বেড়ে গেল। এর পরে সহিংসতা সামাল দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রস্তুতি কেমন—গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, '২১টি কেন্দ্রে যদি আগুন দিয়ে থাকে, আমাদের তুলনায় সেটা অনেক অনেক ছোট। আমাদের হাজার হাজার কেন্দ্র, সেখানে ২১টি কেন্দ্রে আগুন ধরেছে এটা হতে পারে। আমরা মনে করি, নির্বাচনে সুন্দরভাবে জনগণ তাদের ভোট প্রয়োগ করবে।'

Comments

The Daily Star  | English
support for low income working mothers

A lifeline for low-income working mothers

Before the sun rises over Dhaka’s Korail slum, many mothers set out early for a long day of work, carrying the unspoken worry of who will care for their children while they are away.

18h ago