চাঁদপুর-৪: নৌকা-ঈগল সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের গুলি

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের মুন্সীরহাট এলাকায় নৌকার সমর্থকদের উপস্থিতিতে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 
নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: স্টার

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের মুন্সীরহাট এলাকায় নৌকার সমর্থকদের উপস্থিতিতে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। 

এসময় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করেন তারা। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়ে পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে। খবর পেয়ে প্রশাসন মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে। ফলে ৩ ঘণ্টা সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুন্সীরহাট এলাকায় নৌকার প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান এবং এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। গিয়ে দেখি তারা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিত চৌধুরীর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। পরে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৬ রাউন্ড গুলি করা হয়।'

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩ হাজার ২২ জন ভোটারের কেন্দ্রটিতে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। আমরা সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত ৪০৭ জনের ভোটগ্রহণ করি। কিন্তু জাল ভোট দেওয়ার গুজব ওঠায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে হট্টগোল দেখা দেয়। এর ফলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় বিকেল ৩টার পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।'
 

Comments