ইউপি নির্বাচন: নিজে প্রার্থী হয়েও ভোট চাইছেন স্বামীর জন্য

ইউপি নির্বাচন: নিজে প্রার্থী হয়েও ভোট চাইছেন স্বামীর জন্য
মুখলিছ মিয়া ও মাসুমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

স্বামী-স্ত্রী দুজনই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তবে নিজে প্রার্থী হলেও স্বামী মুখলিছ মিয়ার জন্য ভোট চাইছেন মাসুমা আক্তার।

হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নে এই দম্পতির প্রার্থীতা ও মনোনয়নপত্র দাখিল নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। ইউনিয়নের হাট-বাজার, চায়ের দোকানসহ সর্বত্র এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই দম্পতি। 

ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া গতবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। তবে এবার নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার একজন গৃহিনী।

আজ শুক্রবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া ও তার স্ত্রী মাসুমা আক্তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের তালিকায় স্বামী-স্ত্রীর নাম দেখতে পেয়ে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় নুরপুর গ্রামের আব্দুর রাজাক ও নুর আমিন বলেন, 'চেয়ারম্যান পদে স্বামী-স্ত্রী দুজন প্রার্থী হয়েছেন, এটা আমাদের ইউনিয়নে প্রথম। এখন তো সবখানেই তাদের বিষয়ে আলোচনা চলছে। আর আমরা ভোটাররা পড়েছি বিপাকে।'

একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, 'আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী মুখলিছ মিয়ার একজন ভক্ত। কিন্তু মাসুমা ভাবীও আমাকে ভীষণ ভালোবাসেন। এক্ষেত্রে আমি কাকে ভোট দেব, তা নিজেই নির্ধারণ করতে পারছি না।'

 জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার স্ত্রী নিজের ইচ্ছেয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।'

তবে স্ত্রী মাসুমা আক্তার তার হয়েই জনসংযোগ করছেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'আসলে নির্বাচন আমি একাই করছি। আমার স্ত্রী প্রার্থী হওয়ার কারণ আছে। যেকোনো কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল হলে তখন যেন সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে সেই ভাবনা থেকে স্ত্রীকে প্রার্থী করেছি। আমার স্ত্রী এখন জনসংযোগ করছে। কিন্তু সে আমার জন্যই ভোট চাইছে। আশা করছি এবারও বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো।'

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাসুমা আক্তার বলেন, 'আমি প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু আমি স্বামীর জন্যই ভোট চাইছি।'

আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ইসহাক আলী বলেন, 'মুখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তাই আমি এইবার আমি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছি। আশা করছি জয়ী হবো।'

নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ডিসেম্বর।

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

8h ago