বরিশাল সিটি নির্বাচনে কে পাবে বিএনপির ভোট

বরিশাল নগরীতে বিএনপির প্রায় ১ লাখ ভোটার রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
মেয়র প্রার্থী কামরুলসহ ১৯ নেতাকে বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কার

আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিএনপি সমর্থকদের ভোট যাবে কোন দিকে?

স্থানীয়দের মতে, নির্বাচনে কোনো একক প্রার্থী বিএনপি সমর্থকদের ভোট পাবেন না। তবে ধারণা করছেন, প্রার্থীদের মধ্যে যিনিই বিএনপি সমর্থকদের ভোট বেশি টানতে পারবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন।

২০১৩ সালের বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আহসান হাবিব কামাল মোট ভোটের ৪০ শতাংশ পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শওকত হোসেনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।

স্থানীয়রা এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনটিকে বৈধ বলে মনে করেন না। তাদের মতে, ওই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।

সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবার মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপিতে রূপনের কোনো পদ না থাকলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণায় নিজেকে বিএনপি পরিবারের সদস্য হিসেবে তুলে ধরে বিএনপি সমর্থকদের কাছে ভোট চেয়েছেন রূপন।

রূপন গত সপ্তাহ থেকে বরিশাল বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার ও এবায়দুল হক চানসহ আরও অনেকের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকের মাধ্যমে তিনি সহানুভূতি আদায় করে ভোট চাইছেন।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে নগর বিএনপির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না এবং তারা তাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতেও নিরুৎসাহিত করবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বিলকিস আক্তার শিরিন বলেন, 'আমরা বারবার আমাদের দলের সদস্যদের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। এমনকি ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করেছি। যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে, তারা বহিষ্কার হয়েছে। এই নির্বাচনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'

এরপরও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা ১৮ নেতা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কাজেই ধারণা করা যেতে পারে যে অল্প সংখ্যক হলেও বিএনপির সমর্থক এই প্রার্থীদের পক্ষে ভোট দিতে পারেন।

বরিশাল নগরীতে বিএনপির প্রায় ১ লাখ ভোটার রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

এ ছাড়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ও যুবদল নেতা তসলিম উদ্দিনের ভাই ইকবাল হোসেন তাপস মনে করেন, বিএনপির সঙ্গে আদর্শিক মিল থাকায় দলটির সমর্থকদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট তিনি পাবেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি করিমও ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিএনপি মনোভাবাপন্ন ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং তাদের ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

সূত্র জানায়, কোনো দলের সমর্থক নয় এবং ইসলামী আন্দোলনের মতাদর্শের সঙ্গে মিল রয়েছে, এমন কিছু ভোটারও তাকে ভোট দিতে পারে।

এ ছাড়া, আওয়ামী লীগ নেতাদের একটি অংশ গুজব ছড়াচ্ছে যে আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক মুফতি করিমকে ভোট দিতে পারে।

Comments