আয়োজন আছে, ভোটার নেই
দেখতে দেখতে ১ ঘণ্টা কেটে গেল। ভোটের সংবাদ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন সংবাদকর্মীরা। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু, ভোটের মূল আকর্ষণ ভোটারের যে দেখাই মিলছে না!
আজ সোমবার নিয়ম অনুযায়ী খুলে যায় ভোটকেন্দ্রের দরজা। ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের এই উপনির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোট বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল সোয়া ৮টায় গুলশানের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৬১ নং কেন্দ্রে কোনো ভোটার দেখা যায়নি। ৬২ নং কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোট শুরুর প্রথম আধ ঘণ্টায় কোনো ভোট পড়েনি।
৬২ নং কেন্দ্রে ৩টি ভোট পড়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার সরকার।
ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী প্রবীর দাশ জানালেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুরে সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে ৫ থেকে ৬ জন নারীকে ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে। পরে সকাল সোয়া ৯টার দিকে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ৪ কেন্দ্রে ১০১টি ভোট পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এ দিকে, ভোটকে কেন্দ্র করে রাস্তায় যন্ত্রচালিত যানবাহনের সংখ্যা খুবই সীমিত। গুলশানে ফাঁকা রাস্তায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নির্বাচনী ক্যাম্প দেখা গেলেও অন্য প্রার্থীদের কোনো ক্যাম্প দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ মে অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনের অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে—গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ।
ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন— নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত, লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন, ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডাব প্রতীকে বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন ও সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোটকেন্দ্র আছে ১২৫টি এবং ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন।
এই উপনির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই প্রথম কোনো সংসদীয় আসনেন নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
গত ১ জুন নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
Comments