সারাদেশে প্রার্থী হচ্ছেন ১২৮ নারী
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে সারাদেশে মোট ১২৮ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ সংখ্যা ৩০০ আসনের মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থীর মাত্র ৪.৭১ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৯টি আসনে লড়বেন নারীরা।
নারী প্রার্থীদের মধ্যে ৮৩ জন নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া ২৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৬টি দলের হয়ে লড়বেন। আর স্বতন্ত্র নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৪৫।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর তৃতীয় সংশোধনী অনুসারে, রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটির পদে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী রাখতে হবে। তবে বাস্তবে কোনো বড় রাজনৈতিক দল এই বাধ্যবাধকতা পালন করতে পারেনি।
২০২১ সালে নির্বাচন কমিশন ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে।
কোনো দল হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বর্তমান সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সৈয়দা জাকিয়া নূর, সাগুফতা ইয়াসমিন, সিমিন হোসেন, মেহের আফরোজ, সেলিমা আহমেদসহ সর্বোচ্চ ২৩ জন নারী প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছে।
আওয়ামী লীগের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারী প্রার্থী জাতীয় পার্টির। দলটি ৯ জন নারী প্রার্থী রেখেছে। এরপর বাংলাদেশ কংগ্রেস এবং এনপিপি প্রত্যেকে ৮ জন করে নারীকে প্রার্থী করেছে। তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী করেছে ৭ জন নারীকে।
ইসলামী দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় ৬ জন নারী এবং একজন ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। একমাত্র ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী ঊর্মি লড়বেন গাজীপুর-৫ থেকে।
বাকি ইসলামী দলগুলো-বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (পাঞ্জা) কোনো নারী প্রার্থী দেয়নি।
রাজশাহী-১ আসনে লড়বেন সর্বোচ্চ ৩ জন নারী প্রার্থী। তাদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী শারমিন আক্তার নিপা, যিনি মাহিয়া মাহি নামে পরিচিত। তার আসনে আরও লড়বেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত নুরুন্নেসা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান।
Comments