আ. লীগের শাম্মী আহম্মেদের রিটও খারিজ, সুবিধায় পংকজ

শাম্মী আহম্মেদ
শাম্মী আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে শাম্মী হকের মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন  হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির লিটন ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শাম্মীর রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

এতে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ নির্বাচনের পথে কিছুটা এগিয়ে গেলেন। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও এবার দলের মনোনয়ন পাননি তিনি।

তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

শাম্মীর বিরুদ্ধে স্মার্টকার্ডের তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করা, অস্ট্রেলিয়ার ভোটার হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন পংকজ। 

শাম্মী আহম্মেদের আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য ইতোমধ্যে শাম্মী আহম্মেদ চিঠি দিয়েছেন।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পংকজ নাথের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছিলেন শাম্মী আহম্মেদ। অভিযোগে বলা হয়েছিল, পংকজ হলফনামায় ঢাকায় তার বিহঙ্গ পরিবহনের ব্যবসার তথ্য উল্লেখ করেন নি। 

জবাবে পংকজ নাথ জানান, তিনি তার সব তথ্য আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেছেন।

দুই পক্ষের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ এক পর্যায়ে বাগবিতণ্ডায় রূপ নেয়। 

পরে 'দ্বৈত নাগরিকত্বের' কারণ দেখিয়ে শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়ন বাতিল ও পংকজ নাথের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এ ঘোষণার পরপর শাম্মী আহম্মদের আইনজীবী আপিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বরিশাল-৪ (হিজলা মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথম নমিনেশন নিয়েই নির্বাচিত হন। দুই মেয়াদে এই সংসদ সদস্য এ আসনের সংসদ সদস্য হলেও তার বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi migrants in malaysia: Dhaka’s uphill battle to break syndicate chains

Now, as Malaysia prepares to begin fresh labour recruitments, opening the market to Bangladeshis and ensuring migrants' rights will figure high in the upcoming meetings.

13h ago