জাতীয় জাদুঘরে ৭ কোটি বছরের পুরোনো ডাইনোসরের ফসিল

প্রায় ৭ কোটি বছর পুরনো ডাইনোসরের ফসিল সংযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে।
ডাইনোসর ফসিল
ডাইনোসরের ফসিলের চারটি খণ্ড পেয়েছে জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। ছবি: স্টার

প্রায় ৭ কোটি বছর পুরনো ডাইনোসরের ফসিল সংযুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন কানাডায় গবেষণার সময় এই জীবাশ্ম সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি ডাইনোসরের ৪টি জীবাশ্ম জাদুঘরে দান করেছেন।

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের কাছে পাঠানো চিঠিতে ফসিল বা জীবাশ্মগুলো সংযোজনের কথা জানিয়েছে। জাদুঘরের প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগে জীবাশ্মগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ড. হাফিজা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ১৯৮৩ সালে কানাডার আলবার্টা রাজ্যের ড্রামহেলার এলাকায় গবেষণার সময় তিনি ডাইনোসরের জীবাশ্মগুলো সংগ্রহ করেছিলেন। প্রায় ৪ দশক ধরে এগুলো তার তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি গত বছর এপ্রিলে জাতীয় যাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে এগুলো হস্তান্তর করেন।

জাতীয় যাদুঘর কর্তৃপক্ষ ড. হাফিজা খাতুনকে যে ধন্যবাদ পত্র দিয়েছে তাতে বলেছে, ফসিলগুলো যাচাই করা হয়েছে। এগুলো যাদুঘরের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে।

ডাইনোসরের ফসিল সংগ্রহের দিক থেকে কানাডার ড্রামহেলার এলাকার দ্য রয়েল টাইরেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাদুঘর। সেখানকার বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালিয়ে ফসিলগুলো সংগ্রহ করেন। ১৯৮৩ সালে ড. হাফিজা খাতুন গবেষণার কাজে সেখানে যান। তিনিও বেশ কিছু ফসিল সংগ্রহ করেন।

ড. হাফিজা খাতুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি ফসিলগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছেন। এর মধ্য থেকে জাতীয় জাদুঘরে ৪টি ও বাকি কয়েকটি বিজ্ঞান জাদুঘরে দান করেছেন যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও গবেষণা করতে পারে। এই ফসিলগুলো দুর্লভ। দেশ-বিদেশের গবেষকদের এগুলো কাজে আসবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার কঙ্কন কান্তি বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাতীয় যাদুঘরে অনেক দুর্লভ জিনিস থাকলেও, ডাইনোসরের ফসিল ছিল না। এই ৪টি ফসিল পাওয়ায় জাতীয় জাদুঘরটি এখন ডাইনোসরের জীবাশ্ম সম্বলিত হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে ডায়নোসরের ফসিল পরীক্ষার সুযোগ ছিল না। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগিতায় নিশ্চিত হয়েছি যে এটি ডাইনোসরের-ই ফসিল।

জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ডাইনোসরের ফসিল পেয়ে আমরা ভীষণ আনন্দিত। আশা করছি ফসিলগুলো খুব দ্রুত প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করতে পারব। এটি দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বস্তু হবে।

Comments