সিলেটে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কর্মী ‘নিখোঁজ’, থানায় জিডি

সপ্তর্ষি দাস। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের আখালিয়া নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা সপ্তর্ষি দাস (৩০) গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে 'নিখোঁজ' আছেন।

সপ্তর্ষি দাস ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিসট্রিবিউটর এর অধীনে ডিএসআর হিসেবে কর্মরত এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে নগরীর আম্বরখানায় যাওয়ার পর থেকে 'নিখোঁজ' হন।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার সহকর্মী শামসুল ইসলাম। থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক সাইদুল দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জিডিতে শামসুল ইসলাম উল্লেখ করেন যে, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিসট্রিবিউটর এর অধীনে ডিএসআর হিসেবে অফিসিয়াল কাজে থাকা সপ্তর্ষি রাত ৯টা ১০ মিনিটের সময় আরেক সহকর্মী আলী হায়দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসময় সপ্তর্ষি জানান যে তার কাছে থাকা অফিসিয়াল টাকা নগরীর আম্বরখানার ইউপিবি বুথে জমা দিচ্ছেন।

পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে যোগাযোগ করা হলে সপ্তর্ষি দাসের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি।

নিখোঁজ হওয়ার সময় সপ্তর্ষি দাসের কাছে অফিসের লক্ষাধিক টাকা ছিল বলেও জিডিতে উল্লেখ করেন শামসুল।

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সকালে শামসুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাত থেকে নিখোঁজ আছেন সপ্তর্ষি দাস। পরিচিত কেউই এখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাননি। সবদিক থেকেই চেষ্টা চলছে।'

ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সপ্তর্ষি ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি ও সিলেটের ছাত্র আন্দোলনের পরিচিত মুখ। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্ন কারণে সরব। তার হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রহস্যজনক। প্রশাসন ও সরকারের কাছে আমাদের দাবি, দ্রুত সপ্তর্ষি দাসকে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দিতে হবে।'

সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, 'রাতে জিডি ফাইল হওয়ার পর থেকে আমরা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছি। আশা করছি দ্রুত তাকে খোঁজে পাওয়া যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Shahjalal International Airport Terminal-3: Operations face further delay

The launch of Dhaka airport’s third terminal faces a further delay, as the Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) is still negotiating an operation and maintenance agreement -- a prerequisite for starting services -- with a Japanese consortium.

9h ago