ট্রাফিক পুলিশ জব্দের পর নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিলেন চালক

ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন চালক। ছবি: সংগৃহীত

ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাগজপত্র নিয়ে বাগবিতণ্ডার পর রাজশাহী শহরের অক্ট্রয় মোড়ে এলকায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন এক চালক।

আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৩টায় আশিক ও তার বাবা টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ সিসির মোটরসাইকেলে চৌরাস্তা পার হচ্ছিলেন, তখন ট্রাফিক সার্জেন্ট আব্দুল কাইয়ুম তাকে থামান।

আগুনে পুড়ে গেছে মোটরসাইকেলটি। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের দাবি, মোটরসাইকেলচালক ও যাত্রীর কারো মাথায় হেলমেট ছিল না এবং তাদের সঙ্গে কোনো কাগজপত্রও ছিল না। আশিক পুলিশকে অপেক্ষা করার অনুরোধ করে বাড়ি থেকে কাগজপত্র আনার কথা জানান। কিন্তু, ট্রাফিক সার্জেন্ট অপেক্ষা করতে রাজি হননি এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন।

ট্রাফিক সার্জেন্ট অন্যান্য মোটরসাইকেল চেক করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আশিক তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার অনির্বাণ চাকমা বলেন, 'পুলিশ মোটরসাইকেলচালক আশিক আলী (২৭) ও তার বাবা আসাদ আলীকে (৫৬) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ে নিয়ে গেছে।'

তিনি বলেন, 'আশিক ও তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ব্যবসায়ে লোকসান করছিল আশিক, এ কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। তার কাছে কাগজপত্র না থাকায় পুলিশ মামলা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।'

তিনি আরও বলেন, 'এটা একপ্রকার পাগলামি। মোটরসাইকেলটি তার নিজের সম্পত্তি হলেও পুলিশের উপর রাগ করে আগুন দিতে পারেন না।'

বালু ব্যবসায়ী আশিক আলী বলেন, 'এর আগেও ৩ বার মোটরসাইকেলে নানা কারণে ৪০ হাজার জরিমানা গুনেছি। তাই এবার ক্ষোভ সামাল দিতে পারিনি। আজ আদালত থেকে বাড়ি ফিরছলাম। পথে পুলিশের সার্জেন্ট কাইয়ুম আমাকে থামিয়ে কাগজপত্র চান। সেটি সঙ্গে নেই জানিয়ে বাড়ি থেকে আনার অনুমতি চাইলেও পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। তাই আমি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Polytechnic students block Tejgaon road over six-point demand

The blockade has caused a long tailback on roads in the neighbouring areas.

9m ago