সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখলের অভিযোগ আরেক ইয়ার্ড মালিকের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়া এলাকায় আলি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখল ও সেখান থেকে লোহা জাতীয় পণ্য চুরির অভিযোগে উঠেছে এম এ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকের বিরুদ্ধে।
শিপইয়ার্ড
আলি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড ঘিরে দিচ্ছে এম এ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকের লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বার আউলিয়া এলাকায় আলি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখল ও সেখান থেকে লোহা জাতীয় পণ্য চুরির অভিযোগে উঠেছে এম এ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিকের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় আলি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মো. ফরিদুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক পক্ষ আরেক পক্ষের জায়গা দখল করে নিয়েছে। দখলকৃত জায়গা ঘিরে রেখেছে।'

'ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি,' বলেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকার এম এ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মো. মাহবুবুল আলম ও তার ভাই আনোয়ার আলম পাশের আলি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখল করে নিয়েছে। এ সময় তারা দখলকৃত ইয়ার্ডের ভেতরে লুটপাট করেছে।

এতে আরও বলা হয়, সীমানা ও জায়গা নিয়ে দুই ইয়ার্ড মালিকের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এম এ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক মো. মাহবুবুল আলম ও তার ভাই আনোয়ার আলমের নেতৃত্বে প্রায় ২০০ জন আলি স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডটি দখল করে নেয় তারা। 

এ সময় ইয়ার্ডের প্রহরী ও শ্রমিকদের মারধর করে বের করে দেয় এবং মালামালসহ শিপইয়ার্ডটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় তারা।

ভুক্তভোগী মো. ফরিদুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার ইয়ার্ডটি গত ৪ বছর ধরে বন্ধ। সেই সুযোগে মাহবুবুল আলম আমার জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসন এবং থানায় অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছি।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মাহবুবুল আলমকে ফোন করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের জায়গা আমরা দখল করে নিয়েছি।'

এরপর তিনি ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments