কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: ১ জেলের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজারে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের সাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমজাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগর চ্যানেলের খুরুশকূল বেঁড়িবাধ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া জেলে মো. আইয়ুব (৫০) কক্সবাজার শহরের কলাতলীর পুলিশ লাইনের পিছনে ছিদ্দিক হাজীর ঘোনা এলাকার বাসিন্দা। তার আদি বাড়ী কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের ঘোনার পাড়ায়।'

তিনি আরও বলেন, 'মরদেহটি এখনো খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন বেড়িবাঁধে আছে। নিহতের স্বজনরা  ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'

আমজাদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৯ জেলের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। পরে রাতে নিখোঁজ ১১ জনের মধ্যে আরও ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। এতে নিখোঁজ ছিল ৩ জন।

'শনিবার বিকালে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল সংলগ্ন সাগরে আরও ২টি মরদেহ সাগরে ভেসে থাকার স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। যেহেতু নিখোঁজ এক জেলের মরদেহ বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগর থেকে উদ্ধার হয়েছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে সাগরে ভাসমান মরদেহ দুটিও নিখোঁজ জেলেদের। কোস্টগার্ড সদস্যদের সহায়তায় ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির লোকজন মরদেহ উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।

কোস্টগার্ড কক্সবাজার স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, 'মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল সংলগ্ন সাগরে ২টি মৃতদেহ ভাসার খবর পেয়ে ট্রলার মালিক সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় মরদেহ দুটি উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।'

পুলিশ ও কোস্টগার্ড  জানিয়েছে, মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ থাকা আর ও দুই জেলের মৃতদেহ ভাসছে। মৃতদেহ দুইটি উদ্ধারে অভিযান চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Exports stuck in EU, US orbit

For years, policymakers and businesses have talked about diversifying the country’s export basket and destinations. Yet little has changed. Despite generous government incentives, shipments rely heavily on a few products and markets.

59m ago