পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠ রক্ষায় আইনি নোটিশ

জনস্বার্থে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া এলাকার ৭ দশমিক ৪৭ একর আয়তনের ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠ রক্ষা ও সংরক্ষণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্টার ফাইল ফটো

জনস্বার্থে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া এলাকার ৭ দশমিক ৪৭ একর আয়তনের ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠ রক্ষা ও সংরক্ষণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতিসহ (বেলা) আটটি অধিকার সংগঠন এবং একজন বিশিষ্ট নাগরিক যৌথভাবে এই নোটিশ পাঠায়। নোটিশে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ধূপখোলায় মার্কেট নির্মাণের জন্য সব কার্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেলা ছাড়া অন্যরা হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), নিজেরা করি, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ডরিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ, গ্রীনভয়েস, এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের পক্ষে বেলার প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আইনি নোটিশের বিবাদীরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র, ভূমি মন্ত্রণালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগ) সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউকের) চেয়ারম্যান, পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর এলাকা প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক (ডিসি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন ছাড়াই রাজস্ব সংগ্রহের জন্য ডিসিসি ২০২১ সালে ধূপখোলা মাঠে একটি মার্কেট নির্মাণ শুরু করে। সেখানে এই মার্কেট নির্মাণ করা হলে শূন্য দশমিক ৬২ একর জমির পরিমাণ কমে যাবে।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আমরা জানতে পেরেছি যে ওয়াকওয়ে, বসার ব্যবস্থা, পার্কিং জোন, একটি ক্যাফেটোরিয়া এবং মাঠে শিশুদের জন্য একটি পৃথক অঞ্চল (ধূপখোলা মঠ) নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদি এগুলো নির্মাণ করা হয়, তবে তথাকথিত উন্নয়নের কারণে মাঠের আয়তন ৭.৪৭ একর থেকে ৪.০১ একর হয়ে যাবে। সুতরাং, জনসাধারণের জন্য একটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে এখানের মূল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।

বেলার প্রধান আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ধূপখোলা মাঠ আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। কর্তৃপক্ষ সেখানে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

3 buses set on fire within 10 minutes

The incidents were reported in the capital's Gabtoli, Agargaon, and Sayedabad

1h ago