চলাচলের অনুপযোগী লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়ক

পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া বাজার এলাকায় খানা-খন্দে ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক। ছবি: এস দিলীপ রায়

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বুড়িমারীর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক। খানাখন্দের কারণে মহাসড়কটির প্রায় ২০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন সহস্রাধিক মালবাহী ট্রাক ও কয়েক হাজার হালকা যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

পরিবহন শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মহাসড়কটি ভালো থাকলে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পৌঁছাতে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন লাগে ৫ ঘণ্টা। খুব সতর্কতার সঙ্গে মালবাহী ট্রাক নিয়ে চলতে হয়। একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। মহাসড়কটির বেহাল দশার কারণে অনেক পরিবহন শ্রমিক বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে মালামাল পরিবহন করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

স্থানীয়রা ডেইলি স্টারকে জানান, মহাসড়কটির বেহাল দশার কারণে তারাও ঠিকমতো চলাচল করতে পারছেন না। মোটরসাইকেলও ঠিকমতো চালাতে পারেন না তারা। দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন না কোন ব্যবস্থা।

ছবি: এস দিলীপ রায়

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ট্রাকচালক জাবিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই মহাসড়ক দিয়ে ট্রাক চালানোর সময় আল্লাহ আল্লাহ করতে হয়। কখন দুর্ঘটনা ঘটে কেউ জানেন না। প্রায় ২ ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় লাগে এবং অধিক পরিমাণে তেল খরচ করতে হয়। এজন্য আমরা মাল পরিবহনে ব্যবসায়ীর কাছে বেশি চার্জ নিয়ে থাকি।'

বাস চালক সেকেন্দার আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, মহাসড়কটির দুরাবস্থার কারণে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে বাসের যাত্রীও কমে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে বাস যাত্রীরা চলাচল করতে আগ্রহী হচ্ছে না। এছাড়া গন্তব্যে পৌঁছতে অতিরিক্ত সময়ও লাগছে। আমাদের আয়ও কমেছে।'

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবু সাঈদ ডেইলি স্টারকে জানান, মহাসড়কটির বেহাল দশার কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যেও বেহাল দশা তৈরি হয়েছে। সময়মতো পরিবহন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ট্রাক চালক এই মহাসড়কে মাল পরিবহনে অনীহা প্রকাশ করছেন। বেশি চার্জ দিয়ে ট্রাক ভাড়া করতে হচ্ছে। ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে।

লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের বেহাল দশার কথা জানিয়ে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্ল্যাহ সর্দার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিপুল পরিমাণে ওভার লোডেড, ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংস্কার করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে বিলম্ব করছে। ঠিকাদার যাতে দ্রুত কাজ শুরু করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

15h ago