মাদক নিয়ন্ত্রণে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান। ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মাদক নিয়ন্ত্রণে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জন-প্রতিনিধি, সমাজনেতা ও সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাজশাহী পুলিশ লাইন্স পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন এবং মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এই সহযোগিতা চান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, 'মাদক এমনই একটা ভয়ঙ্কর নেশায় পরিণত হয়েছে, মাদক এমন একটা লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম হওয়ার প্রচেষ্টা নিচ্ছি, আমরা আইন সংশোধন করেছি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করেছি, তারপরও এটা যেন কীভাবে আসে। সেজন্য আপনাদের বলছি, আপনাদের সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন, আপনার ভাইয়ের প্রতি খেয়াল রাখুন।'

তিনি বলেন, 'মাদক থেকে নতুন প্রজন্মকে যদি আমরা দূরে রাখতে না পারি, তাহলে আমাদের সব স্বপ্ন বিফল হয়ে যাবে। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। কিন্তু, আমরা মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।'

তিনি পিতা-মাতার হত্যাকারী ঐশির কথা উল্লেখ করে মাদকের ভয়াবহতা ব্যাখ্যা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'সরকারের একার বা পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড আনসার, র‌্যাব দিয়ে কিংবা মাদক অধিদপ্তর দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদেরকে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। সহযোগিতা না করলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারবো না।'

এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আরাকান আর্মিদের সঙ্গে মিয়ানমারের সরকারের যুদ্ধ হচ্ছে। এই যুদ্ধের কারণে মাঝে মাঝে আমাদের সীমান্তেও গোলা পড়ছে। এ বিষয়ে বিজিবি মিয়ানমারের বিজিবির কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিকে শক্তিশালী করা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে, আশা করা হচ্ছে অচিরেই গোলাগুলি থামবে।

রাজশাহীতে বিএমডিএ ভবনে লাইভ সম্প্রচারকালে এটিএন নিউজের ২ সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলার ৮ দিন পার হয়ে গেলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, নিশ্চয়ই যারা অপরাধ করেছেন তাদের তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বরাবরই প্রতিবাদী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। এখানকার একজন ডিআইজি ও একজন পুলিশ সুপারসহ অনেকেই শহীদ হয়েছেন। এতদিন পরে হলেও এ জাদুঘর নির্মাণ করায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পুলিশ কমিশনারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন। বক্তব্য দেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।

Comments

The Daily Star  | English
NSC shop rent scam in Dhaka stadiums

Shop rent Tk 3 lakh, but govt gets just Tk 22,000

A probe has found massive irregularities in the rental of shops at nine markets of the National Sports Council (NSC), including a case where the government receives as little as Tk 22,000 in monthly rent while as much as Tk 3 lakh is being collected from the tenant. 

16h ago