সুলতানা কামালের বিরুদ্ধে রিজভীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ২২ নাগরিকের বিবৃতি

সুলতানা কামাল, রুহুল কবির রিজভী
মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামালের বিরুদ্ধে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যকে অসংবেদনশীল, কুরুচিপূর্ণ উল্লেখ করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ২২ নাগরিক।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং দীর্ঘ সময় ধরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতানা কামালের ইন্ডিয়া টুডের সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে রুহুল কবির রিজভীর আক্রমণাত্মক, অসংবেদনশীল, অশোভনীয় ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গত ৫ অক্টোবরের বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষক, আইনজীবী এবং সাংবাদিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারা বলেন, 'সুলতানা কামালের বিরুদ্ধে রুহুল কবির রিজভীর এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ মানবিক মর্যাদার পরিপন্থী এবং ব্যক্তির মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুলতানা কামাল সাধারণ জনগণের অধিকারের পক্ষে আজীবন কাজ করেছেন। তাকে আওয়ামী অধিকার কর্মী বলে অভিযোগ করা অনভিপ্রেত এবং এর মাধ্যমে মানবাধিকার আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিএনপির দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি তাকে ছোট করার হীন প্রয়াস বলে মনে হয়।'

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সুলতানা কামালের সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা সর্বজনবিদিত। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক জন হামফ্রি ফ্রিডম এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।'

'সুলতানা কামাল তার সাক্ষাৎকারে কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য উদ্ঘাটন করায় রিজভী যেভাবে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তার মাধ্যমে তিনি এবং তার দলের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, রিজভীর বক্তব্য প্রকারান্তরে মানবাধিকার আন্দোলনকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা হিসেবে প্রতীয়মান হয় এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। রিজভীর অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। আশা করছি আগামীতে তিনি এবং তার দল মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানে বিরত থাকবেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন- অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, হুমায়ূন কবীর, শামসুল হুদা, অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, অধ্যাপক সাদিকা হালিম, খুশি কবীর, সঞ্জীব দ্রং, রবীন্দ্র সরেন, পল্লব চাকমা, সানায়া আনসারী, এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, কাজল দেবনাথ, এডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, মোতাহার হোসেন আকন্দ, জিনাত আরা হক, বেগম রোকেয়া, এডভোকেট সাইদুর রহমান, এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, অধ্যাপক ড. এস. এম মাসুম বিল্লাহ, তাপস কুমার দাস, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago