বিক্রি শেষের রাতে ইলিশের দাম চড়া

বিক্রি শেষের রাতে ইলিশের দাম চড়া
রাত যত বাড়ছে, মাছের বাজারে ভিড়ও তত বাড়ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, মাছের চড়া দামের কারণে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়ের শেষ দিনে রাজধানীর কাওরানবাজারের মাছের আড়তে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। 

সাধারণত মাছের বাজারগুলো রাত ৯টায় বন্ধ হলেও বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে কাওরানবাজারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। 

রাত যত বাড়ছে, মাছের বাজারে ভিড়ও তত বাড়ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, মাছের চড়া দামের কারণে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের।

মিরপুর ১০ এর বাসিন্দা মো. সোহেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ১০ কেজি ইলিশ মাছ কিনতে এসেছি। আমার বাজেট ১০ হাজার টাকা। আমি মাছের আড়তের একজন ব্যবসায়ীকে ফোন করে জেনেছি যে রাত ১২টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকবে। সেজন্যই এতো দূর থেকে আসা। যেমনটা আশা করে এসেছিলাম মাছের দাম তার চাইতে অনেক বেশি।'

মা ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নদী ও সাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ থাকবে। 

বিক্রেতারা বলছেন, শেষদিন হিসেবে সারাদিন যে পরিমাণ ইলিশ বিক্রি হওয়ার কথা ছিল তেমনটা বিক্রি হয়নি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিক্রি বেড়েছে।

এদিকে ক্রেতারা জানান, দিনের বেলার মাছের চড়া দামের কারণে অনেকেই খালি হাতে ফিরে গেছেন। সন্ধ্যার পর কয়েকজন বিক্রেতা মাছের দাম কম হাঁকতে শুরু করলে আবার বিক্রি বাড়তে শুরু করে।

মাছের বাজারে দামের তারতম্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাছের আড়তদার মো. শুক্কুর মিয়া বলেন, 'আমার ৫০০ মাছ আসছে। সন্ধ্যায় গাড়ি রওনা হয়েছে। এখনো পৌঁছায়নি। কিন্তু ইতোমধ্যেই আমার কাছে অনেক অর্ডার চলে এসেছে। আমি এতক্ষণ ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করলেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন ১১০০ করে বিক্রি করছি।' 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো ব্যবসায়ী ৯৫০ টাকা কেজি, কেউ আবার ১১০০ টাকা করে বিক্রি করছেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, 'আমার এখনো অনেক মাছে রয়ে গেছে। তাই আমার কেনা দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ আজকে শেষ দিন। রাত ১২টা বাজলেই পুলিশ আসবে, ভোক্তা অধিকারের লোকজন আসবে। তখন আর চাইলেও বিক্রি করতে পারবো না। তাই এখন কম দামে হলেও বিক্রি করে দিচ্ছি।'

বাজারর পরিস্থিতি সম্পর্কে এক আড়তদার বলেন, 'রাত যত বাড়ছে ক্রেতাও তত বাড়ছে। ক্রেতা যদি বাড়তে থাকে তাহলে মাছের দাম কমার সম্ভাবনা নেই।তবে ক্রেতার চাপ না থাকলে ব্যবসায়ীরা লোকসান করে হলেও মাছ বিক্রি করে দেবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago