খুলনায় মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি, মন্ত্রী বললেন ‘জানা নেই’

খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় আজ শনিবার দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট অনেক ধীরগতির বলে অভিযোগ উঠেছে।
খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় আজ শনিবার দুপুর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট অনেক ধীরগতির বলে অভিযোগ উঠেছে।

গ্রাহকদের আশঙ্কা, বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট ধীরগতি করে দেওয়া হতে পারে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলেন নুর ইসলাম সরদার। সমাবেশ থেকে তিনি তার নিজের পেইজে লাইভ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু কোনোভাবেই সেটি সম্ভব হচ্ছিল না।

প্রথমে বুঝতে পারেন না কেন এমন হচ্ছে। পরে আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে ধারণা পান যে ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে।

তিনি বলেন, 'মনে হয় এটা ইচ্ছা করেই করা হয়েছে, আমরা যাতে লাইভ বা অন্য কোনোভাবে এটি প্রচার করতে না পারি।'

'শুধু সমাবেশকে কেন্দ্র করে যদি নেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয় সেটা নিন্দনীয়। এই সমাবেশের আশপাশে কি শুধু বিএনপির লোকজন ছিলেন? এই শহরে অন্য লোক বাস করে না? তাদের তো ইন্টারনেট প্রয়োজন আছে,' বলছিলেন তিনি।

খুলনার ডুমুরিয়া থেকে আসা নিরঞ্জন কর্মকার জানান, তিনিও অনেকক্ষণ ধরে সমাবেশে তোলা ছবি ফেসবুকে আপলোড করতে পারছিলেন না।

এদিকে, মোবাইল অপারেটরদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা আজ শনিবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ দুপুর ১টার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে ই-মেইল নির্দেশনায় খুলনায় থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেট সার্ভিস সাময়িক বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

তবে এমন নির্দেশনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যদি কোনো কারিগরি ত্রুটি না থেকে থাকে, তাহলে বিটিআরসি থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। কোনো কারিগরি ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে।'

Comments