‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আ. লীগ ১০টি আসনও পাবে না’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না। এমনকি তারা ১০টি আসনও পাবে না।
খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না। এমনকি তারা ১০টি আসনও পাবে না।

মির্জা ফখরুল আজ শনিবার খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এই কথা বলেন।

সমাবেশ ঘিরে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ও বাড়িতে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ঠেকাতে খুলনা অভিমুখী সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাধা উপেক্ষা করেই দলটির হাজারো নেতা-কর্মী আজ সমাবেশে যোগ দেন। যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসেন।

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের মতো খুলনার সমাবেশের মঞ্চেও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মানে একটি চেয়ার খালি রাখা হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। খুলনাবাসী অসাধ্য সাধন করেছেন।

শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার দেশকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে উল্লেখ করে সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, খুলনাকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য জন্য আপনারা অসাধ্য সাধন করেছেন। আপনাদেরকে আমি স্যালুট জানাই।

সড়ক, নৌ ও রেলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরও খুলনায় বিএনপির সমাবেশে হাজারো নেতা-কর্মী উপস্থিত হন। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারের ওপর আহত হয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করা যায় না।

এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কি এই নির্বাচন কমিশনকে মেনে নেবেন? নেতা-কর্মীরা বলেন, 'না, না।'

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলেছে। এখন সময় সরকার উৎখাত করে দেশকে রক্ষা করার।

অসুস্থ বোধ করায় এই পর্যায়ে তিনি বসে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের কাছে অনুমতি চান।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি বলেছিলেন বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। তবে কেন সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে আশঙ্কা করছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়।

বিএনপির সমাবেশে খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বর হাজারো নেতা-কর্মীতে পূর্ণ হয়ে যায়। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

আন্দোলন করা ছাড়া এখন আর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে। স্বেচ্ছায় ক্ষমতা না ছাড়লে গণঅভ্যুত্থান হবে। তখন পালানোর পথ পাবেন না।

Comments