আবারও মিয়ানমারের গুলি এসে পড়ল নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে

বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় তীব্র আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসেছে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে দোছড়ি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এসব গুলি এসে পড়ে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ আমি ৮ নম্বর বাহির মাঠ ওয়ার্ড এলাকায় গিয়েছিলাম। সেসময় স্থানীয়রা জানান যে, গতরাত থেকেই সীমান্তের ৪৯ ও ৫০ নম্বর পিলারের ওপারে মিয়ানমার অংশে তীব্র গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, আমি আমার অফিসে বসেও গোলাগুলির আওয়াজ পেয়েছি। এরপর স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা ভেবে এলাকায় সতর্কতামূলক মাইকিং শুরু করি এবং প্রতিটি মসজিদ থেকে নিয়মিত সতর্কতামূলক মাইকিং করার জন্য অনুরোধ করেছি।'

তিনি বলেন, 'সকালের দিকে কিছুসময় গোলাগুলি বন্ধ ছিল। পরে দুপুরের দিকে আবার তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়। সেসময় দোছড়ি ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কিছু গুলি এসে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা প্রচণ্ড আতঙ্কে আছেন।'

স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত এক সপ্তাহ মিয়ানমারের ভেতর থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসেনি। এতে তারা বেশ স্বস্তিতে ছিলেন। তবে আজ দুপুর থেকে গুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়।

তারা আরও জানান, মিয়ানমার থেকে গুলি এসে পড়লেও স্থানীয় কেউ হতাহত হননি। তবে আতঙ্কে সীমান্তের বাসিন্দারা এলাকায় অবস্থানের সাহস পাচ্ছেন না। অনেকেই আশপাশের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিয়ানমারের ভেতর থেকে আজ আবারও আমাদের সীমানায় গুলি এসে পড়ার কথা শুনেছি। দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান আমাকে জানিয়েছেন যে, সীমান্তের অনেক বাসিন্দারা আতঙ্কে দোছড়ি বাজার ও লেমুছড়ি এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।'

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টান্টু সাহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বান্দরবান সদর থানায় এসেছি। সীমান্তে গুলি এসে পড়ার খবর এখনো আমার কানে আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।'

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অফিসের কাজে উপজেলার বাইশারী

এলাকায় আসার কারণে সীমান্ত এলাকার খবর রাখতে পারিনি। গিয়ে খোঁজ-খবর নেব। যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তাহলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয়শিবিরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব।'

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

11h ago