বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে হোয়াইক্ষ্যং-তুমব্রু সীমান্ত

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং ও নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে এসব বিস্ফোরণের শব্দ আসছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত। ছবি: স্টার

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং ও নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে এসব বিস্ফোরণের শব্দ আসছে।

এতে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি পরিবারগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।

সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা জানান, হোয়াইক্ষ্যং সীমান্তের ওপারে শীলবনিয়া এবং তুমব্রুর ওপারে ঢেকুবনিয়া এলাকা থেকে মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে।

তুমব্রুর কোনারপাড়া ও উত্তরপাড়া এবং হোয়াইক্ষ্যংয়ের লম্বাবিল ও উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তারা গতকাল রোববার রাত ১১টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন। বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে উঠছে এবং গোলাগুলির শব্দও পাচ্ছেন তারা।

তুমব্রুর কোনারপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দুল বাশার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে গোলাগুলির শব্দে এলাকা কেঁপে উঠে। সবাই আতঙ্কিত হয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠেন। সকাল পর্যন্ত কেউ ঘুমাতে পারেননি।'

হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী ও তুমব্রু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজীজও একই কথা বলেন।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জালাল আহমদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার গতকাল রাত ১১টার পর থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত হোয়াইক্ষ্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কয়েকটি এলাকায় ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে আমাদের এলাকা পর্যন্ত কেঁপে উঠছে।'

টেকনাফ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আবারো হোয়াইক্ষ্যং সীমান্তে গোলাগুলির খবর জেনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, সীমান্তের ৩০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি।'

এমন পরিস্থিতির মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

আজ সকাল থেকে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন বলে জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজারস্থ ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মেহেদী হোসাইন কবির।

বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে আজ সকালে বিজিবির মহাপরিচালক কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর সকাল ১০টা থেকে তিনি ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন।

Comments