‘লালন চাও, না মৌলবাদ চাও?’
হাতে বাদ্যযন্ত্র, মুখে বাউল গান। সিলেট নগরীর চৌহাট্টা থেকে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার একদল মানুষ। তাদের দাবি, বাউলদের উপর হামলাকারী চিহ্নিত হোক, তাদের শাস্তি হোক।
গত ৫ নভেম্বর রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লাউবাড়িয়ায় বাউল পলান ফকিরের বাড়িতে সাধুসঙ্গে মৌলবাদীদের হামলার প্রতিবাদে এ 'গানমিছিল' আয়োজন করে সিলেটের নাগরিক প্ল্যাটফর্ম 'সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন'।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া গানমিছিলের পূর্বে 'লালন চাও, না মৌলবাদ চাও?' প্রশ্ন রেখে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। সভায় তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম।
কিম বলেন, 'আমরা আমরা লালন চাই, করিম চাই, রাধারমণ চাই। মৌলবাদ চাই না। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের পূর্বসূরিরা লড়েছেন। সে লড়াইয়ে আমরাও সমবেত হয়েছি।'
তিনি বলেন, 'একদিকে লালন উৎসব হবে, বিশ্ব দরবারে লালন আমাদের পণ্য বলে বিক্রি হবে, অন্যদিকে লালন চর্চায় ব্যারিকেড দেওয়া হবে—তা হতে পারে না। এই স্ববিরোধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।'
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনির।
বক্তারা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সাধুসঙ্গে সমবেত বাউলদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
গত ৫ নভেম্বর রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাউবাড়িয়া এলাকায় বাউল পলান ফকিরের বাড়িতে সাধুসঙ্গে সমবেত হন বাউল সাধুরা। সেখানে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় মৌলবাদী দুর্বৃত্তরা। এসময় কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং মারধর করা হয় বাউলদের।
Comments