‘বিদেশি পর্যটক না আসার কারণ অসুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ও ধর্মীয় গোঁড়ামি’

দেশের অসুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে বিদেশি পর্যটকরা আসছে না এবং পর্যটন খাত বিকশিত হচ্ছে না বলে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) শীর্ষ নেতারা মন্তব্য করেছেন।
কুয়াকাটা
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

দেশের অসুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে বিদেশি পর্যটকরা আসছে না এবং পর্যটন খাত বিকশিত হচ্ছে না বলে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) শীর্ষ নেতারা মন্তব্য করেছেন।

তারা আও বলছেন, পর্যটক আকৃষ্ট করতে দেশের মানুষের আচরণের পরিবর্তন অপরিহার্য।

দেশের সাড়ে ৩ হাজার ট্রাভেল এজেন্টের সংগঠন আটাব নেতাদের মতে, দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকার তেমন কিছুই করছে না।

আজ বুধবার রাজধানীতে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আটাব নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকারের অসহযোগিতার দিকে ইঙ্গিত করে আটাব মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ বলেন, 'করোনা মহামারির প্রভাবে অনেক ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে আগত বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা প্রায় শূন্য। এ অবস্থায় সরকারের ভূমিকা শূন্য।'

বুধবার অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে আটাব নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'পর্যটনের নামে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু তারা সবাই লক্ষ্যচ্যুত।'

'আমরা আসলে বুঝি না যে কে দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সরকার নাকি মিডিয়া। আমি বুঝতে পারছি না এর জন্য কে দায়ী,' বলেন আটাব মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ।

আগামী ১ ডিসেম্বর  থেকে আটাবের আয়োজনে প্রথম ৩ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম এক্সপো (বিআইটিটিই) শুরু হবে। এর মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্প উত্সাহিত হবে এবং বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরা যাবে।

আবদুস সালাম বলেন, তারা এক্সপোতে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের বিমান ভাড়া নির্ধারণ নিয়েও অনেক সমস্যা আছে। তারা (বিদেশি এয়ারলাইনস) আমাদের দেশ থেকে প্রচুর ডলার নিয়ে যাচ্ছে। তারা কীভাবে ফ্লাইটের ভাড়া নির্ধারণ করছে, কীভাবে তারা সরকারের কাছে হিসাব জমা দিচ্ছে, ফ্লাইটের টিকিটের দাম সর্বোচ্চ কত হতে পারে, সে বিষয়ে অনেক কিছু করার আছে।'

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষেরও অনেক সমস্যা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমাদের এসব বিষয়ে সবাইকে একেসঙ্গে কাজ করা উচিত।'

আটাব সভাপতি এস এম মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব বলেন, 'যে কোনো দেশে পর্যটন শিল্প বিকাশে মিডিয়াই প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে।'

'বিশ্বের কোথাও মিডিয়ার কোনো বিকল্প হতে পারে না। গণমাধ্যমে আমাদের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরতে পারলে দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়ন করা সম্ভব,' বলেন তিনি।

পর্যটন ও অ্যাভিয়েশন খাত বিশ্বব্যাপী জিডিপি বাড়াতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'অ্যাভিয়েশন খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানের শৃঙ্খলার অভাব আছে।'

Comments