চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ওএমএস লাইন থেকে খালি হাতেই ফেরেন এক-তৃতীয়াংশ মানুষ

এক তৃতীয়াংশ মানুষকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরে যেতে হয় চাল-আটা না পেয়ে। ছবি: স্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সপ্তাহে দুদিন সকাল ৯টা থেকে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি (ওএমএস) শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রাত সাড়ে ৩টা থেকে ডিলারের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়ান মানুষ। আসতে একটু দেরি হলেই ফিরতে হয় খালি হাতে।

প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরে যেতে হয় চাল-আটা না পেয়ে।  

শহরের শিবতলায় ওএমএস ডিলারের দোকানে গতকাল সোমবার সকাল পৌঁনে ৭ টায় দেখা গেছে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন।

শহরের পিটিআই এলাকার আসকুরা বেগম (৩০) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সকাল ৯টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। কিন্তু রাত সাড়ে ৩টা থেকে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন। একই এলাকার আরজিনা (২৫) এসেছেন তার সঙ্গে। 

এ ছাড়া শিবতলা এলাকার আকতারা বেগম (৪০) এসেছিলেন সকাল ৬টায়। এর আগের দিন তিনি লাইনে দাঁড়িয়েও আটা পাননি। চাল পেয়েছিলেন। তাই এবার আটার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

সকাল সাড়ে ৫টায় এসে লাইনে দাঁড়ান গুল বাগ এলাকার এবুল হোসেন (৭৫)। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা প্রতি কেজি ২৪ টাকায় বিক্রি হয়। বাজারে অনেক দাম। আমরা গরীব মানুষ, তাই কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে আটা-চাল কিনছি।

আসকুরা, আকতারা ও এবুলরা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে চাল-আটা পেলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অনেকের। তাদের একজন শিবতলার শফিকুল ইসলাম (৫৫)।

শফিকুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও আমি চাল-আটা পাইনি। আজকে দেওয়া শেষ হয়ে গেছে।'

ওএমএস ডিলার মোখলেসুর রহমান সেন্টু এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সপ্তাহে ২ দিন ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি হয়। একদিন ১ টন চাল ও ১ টন আটা বরাদ্দ দেয়। এই চাল আটা ২০০ জনের কাছে বিক্রি করা যায়। কিন্তু লাইনে দাঁড়ায় ৩০০ জনের বেশি মানুষ। ফলে অনেকেই না পেয়ে ফিরে যান।'

চাঁপাইনবাবগঞ্জ খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহমুদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বরাদ্দের বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে ঠিক করা আছে। এটা স্থানীয়ভাবে বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।'

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউ মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা এবং আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago