বাংলাদেশ

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য ৩০০ কি.মি. হাঁটবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল ‘মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত। ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা এবার অন্য লড়াই করবেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য পায়ে হেঁটে ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। যা হবে তার চতুর্থ পদযাত্রা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল 'মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা' হিসেবে পরিচিত। ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা এবার অন্য লড়াই করবেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য পায়ে হেঁটে ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। যা হবে তার চতুর্থ পদযাত্রা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধার বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ৩০০ কিলোমিটার পদযাত্রা করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল। আগামী বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ সার্কিট হাউসের মুজিব চত্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদযাত্রা শুরু হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাঁটবেন বিমল পাল। ১০ ডিসেম্বর হলো ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস।

মুক্তিযোদ্ধার বিজয় পদযাত্রা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শংকর সাহা জানান, বিমল পাল ময়মনসিংহ টাউন হল থেকে যাত্রা শুরু করে জেলার মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, গফরগাঁও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর, ধোবাউড়া, হালুয়াঘাট, ফুলপুর, তারাকান্দা হয়ে ময়মনসিংহ নগরীতে প্রবেশ করবেন। ১০ ডিসেম্বর বিকেলে নগরীর চায়না সেতু সংলগ্ন জয়বাংলা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বিকেল সার্কিট হাউস চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা বরণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পদযাত্রা। বিমল পালের পদযাত্রায় ছায়াসঙ্গী হবেন আরও ৯ জন।

আয়োজকরা আশা প্রকাশ করে বলেন, এই পদযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বার্তা ছড়িয়ে দিবে। এতে বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে ও তারা উজ্জীবিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিমল পাল, কবি ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রফিকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা দীপেস চন্দ্র সরকার, সমাজকর্মী আলী ইউসুফ ও অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান ফয়সাল প্রমুখ।

Comments