‘প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, আমিও সেখানে যাই’

২০০৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে ঘুরে ঘুরে নৌকার কোর্ট পিন, ব্যাজ, মাথার ব্যান্ড বিক্রি করেন শহীদুল ইসলাম। ছবি: এফ এম মিজানুর রহমান/ স্টার

'সেই ২০০৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের পিছু পিছু ঘুরি। প্রধানমন্ত্রী যেখানে যান, সেখানে আমিও যাই। সমাবেশে  ঘুরে ঘুরে নৌকার কোর্ট পিন, ব্যাজ, মাথার ব্যান্ড বিক্রি করি। সমাবেশের বদৌলতে দেশের অধিকাংশ জেলায় আমি ঘুরেছি।'

কথাগুলো বলছিলেন ৫৫ বছর বয়সী মো. শহীদুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের সামনে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয়। শহীদুল ইসলামের বাড়ি ঢাকাতে।

শহীদুল ইসলাম বলেন, 'গত ১২ থেকে ১৩ বছর ধরেই আমি কোর্ট পিন, ব্যাজ, মাথার ব্যান্ড বিক্রি করি। বড় বড় সমাবেশে বিক্রি বেশি। সমাবেশ ছাড়া পার্টি অফিসের সামনে ঢাকায় বিক্রি করি। অন্য সময় রেডিমেড কাপড়ের বেচা-কেনা করলেও কোর্ট পিন বিক্রি করেই ভালো আয় আসে।'

ভেন্যুভেদে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার কোর্ট পিন, ব্যাজ বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, 'আজ ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫০০টি ব্যাজ ও পিন বিক্রি করেছি। নির্বাচন এলেই বিক্রি বেড়ে যায় বহুগুণ। বড় বড় নেতা ও তাদের কর্মীরাই প্রধান ক্রেতা। ঢাকার চকবাজার থেকে কিনি এসব। এ দিয়েই ২ ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে দিন চলে যাচ্ছে। ছেলেরাও টুকটাক কাজ করে।'

'পিন ও ব্যাজ বিক্রি করতে করতে মোটামুটি একটা পরিচয় হয়েছে। সমাবেশে খাওয়া দাওয়া সেখান থেকেই ম্যানেজ হয়। আগামী ৭ তারিখ কক্সবাজারেও যাবো প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে,' তিনি বলেন।

কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের খবর পান জানতে চাইলে চাইলে শহীদুল ইসলাম বলেন 'এখন ইন্টারনেটের যুগ। সেখান থেকেই সব পাই।'

শহিদুলের মতো আরও অনেকেই এসেছেন কোর্ট পিন, ব্যাজ বিক্রি করতে। অনেককে নেতা-কর্মীদের জোর করে পিন পরিয়ে টাকা আদায় করতেও দেখা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago