মিয়ানমার চুক্তি মানবে আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর, ৩৩ হাজারের প্রত্যাবাসনে নিরাশা

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার চুক্তি মানবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন
ছবি: সংগৃহীত

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার চুক্তি মানবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের আগে যেসব রোহিঙ্গা এসেছিল, মিয়ানমার তাদের নিতে রাজি না। এই সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এদের প্রত্যাবাসনে খুব বেশি আশা করা যাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের শুধু যুক্তরাষ্ট্র নেবে না, তাদের বন্ধু দেশগুলোকেও অনুরোধ করবেন রোহিঙ্গা কিছু নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছি, ২০১৬ সালের পরে যারা এসেছে তাদের তারা (মিয়ানমার) নিয়ে যাবে। তার আগে যারা এসেছিল, মিয়ানমার তাদের নিতে রাজি না। এই সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আমরা বিদেশি বন্ধুদের বলেছি, আমরা নিয়ে যান। আমেরিকার সঙ্গে আলাপ হয়েছে। ৬২ জনের লিস্ট হয়েছিল, তার মধ্যে ২৪ জন প্রথম কিস্তিতে নেওয়া হচ্ছে।

চূড়ান্ত সমাধান হলো মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। কিছু মানুষ বিভিন্ন দেশে যাবে। কিছু কিছু যাচ্ছে, তাদের আত্মীয়-স্বজন আছে ওই দেশে। আমি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলাপের সময় বলেছি, আপনারা অন্তত ১ লাখ নিয়ে যান। আপনাদের লোক সংখ্যা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে, এদের নিয়ে যান—বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে জানিয়ে মোমেন বলেন, তারা বলেছে যে কোনো সময় তারা নেওয়া শুরু করবে। তারা কয়েকশ লোককে ইতোমধ্যে ভেরিফাই করেছে। আমাদের আশা, এগুলো ওদিকে যাবে। বিদেশে খুব কম লোকই যাবে, খুব বেশি আশা করা যাবে না। এখন সবগুলো দেশ খুব কঞ্জুস হয়ে গেছে, মানুষ নিতে চায় না।

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in Dec

One of the two units of the Rooppur Nuclear Power Plant will be commissioned this December if transmission lines are ready although the deadline for the project’s completion has been extended to 2027.

8h ago