বিএনপির সমাবেশ

মুন্সিগঞ্জে ৩০ চেকপোস্টে পুলিশের তল্লাশি

মুন্সিগঞ্জে কমপক্ষে ৩০টি চেকপোস্টসহ পুলিশের মোট ৮৪টি দল টহল দিচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে পাশের জেলা মুন্সিগঞ্জে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি জেলায় পুলিশের অভিযান বাড়ানো হয়েছে। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো আটকের খবর পাওয়া যায়নি।

মুন্সিগঞ্জে কমপক্ষে ৩০টি চেকপোস্টসহ পুলিশের মোট ৮৪টি দল টহল দিচ্ছে। ঢাকামুখী যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে। জেলা পুলিশের চেকপোস্টের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশও মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে।

কিন্তু, পুলিশ বলছে বিএনপির সমাবেশ নয় বরং জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত রুটিন কাজ হিসেবে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুমন দেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে তাই কয়েকদিন ধরে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। গত কয়েকদিনের বিশেষ অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।'

মুন্সিগঞ্জ শহর বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইরাদত মানু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের নজরদারি ও অভিযান বেড়েছে। তবে, গত ২ দিনে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে আটকের খবর পাইনি।'

সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন জানান, চেকপোস্টে পুলিশি হয়রানির কারণে আমাদের অনেকে ঢাকার সমাবেশে যেতে পারেননি। আমরা আনুমানিক ৫ হাজার নেতাকর্মী যেতে পারব বলে ধারণা করছি। তবে, আশা করেছিলাম মুন্সিগঞ্জ থেকে কমপক্ষে ২৫ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবে।

এদিকে, জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিকেলে মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

তবে, আমিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের কোনো বিক্ষোভ মিছিল হয়নি। বিজয়ের মাসে জাতীয় বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের উদ্দেশ্যে র‌্যালি হয়েছে। কিন্তু, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।'

মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, 'বিএনপির সমাবেশ ঘিরে আমাদের কোনো কার্যক্রম নেই। কে বা কারা বিক্ষোভ মিছিল বা সমাবেশ করেছে তা জানি না। তবে, সবাইকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমবেত হতে বলা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago