বাংলাদেশ

বকেয়া মজুরির দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের মশাল মিছিল

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল করেছে চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। 
বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ৩ দাবিতে সিলেটে চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের মশাল মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সিলেটে মশাল মিছিল করেছে চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা সদরের মালনীছড়া চা বাগান থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে লাক্কাতুরা-চৌকিদেখি হয়ে রেস্ট ক্যাম্প বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

চা বাগান শিক্ষা অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সংগঠক অধীর বাউরীর সভাপতিত্বে ও রানা বাউরীর পরিচালনায় মশাল মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর পর চা শ্রমিকদের মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য চুক্তি হওয়ার কথা। কিন্তু মালিকরা এই চুক্তি নিয়ে তালবাহানা করে। ২০২১-২২ সালের চুক্তিও এখনো হয়নি।'

এর আগে ৩০০ টাকা মজুরি, চুক্তি সম্পাদনসহ বিভিন্ন দাবিতে গত আগস্ট মাসে টানা ১৯ দিন ধর্মঘট করেন চা শ্রমিকরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা ১৭০ টাকা দৈনিক মজুরি মানতে বাধ্য হন। 

এ বর্ধিত বেতন ২০২১-২২ সালের জন্য। এতে শ্রমিকরা গত ১৯ মাসের বর্ধিত টাকা (দৈনিক ৫০টাকা) পাওনা আছেন মালিকদের কাছে। 

মালনীছড়া চা বাগান থেকে শুরু হয়ে লাক্কাতুরা-চৌকিদেখি হয়ে রেস্ট ক্যাম্প বাজারে মশাল মিছিল শেষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা কোনো ন্যায়সঙ্গত ধর্মঘট করলে মালিকরা সে দিনগুলোর বেতন দিতেও বাধ্য থাকার কথা। কিন্তু মালিকরা ওই ১৯ দিনের মজুরির টাকাও পরিশোধ করেনি।

শ্রমিকরা অবিলম্বে বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়ে বলেন, 'শ্রমিকদের বকেয়া বিল থেকে বঞ্চিত করলে গোটা চা অঞ্চলে যে অস্থিরতা তৈরি হবে, তার দায়ভার মালিক ও সরকারকে নিতে হবে।'

বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা এবং রেশন ৫ কেজি করার দাবিও জানান তারা।

বক্তারা বলেন, 'জানুয়ারি মাস থেকেই স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই কাগজ-কলমের দাম বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে ১৭০ টাকা মজুরি দিয়ে খাবারই জোটে না। তাই চা বাগানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন রক্ষায় বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ ও শিক্ষাবৃত্তি দিতে হবে।'

সমাবেশে সংগঠনের প্রধান সংগঠক সঞ্জয় কান্ত দাস, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হৃদেশ মুদি এবং লাক্কাতুরা, কেওয়াছড়া, হিলুয়াছড়া চা বাগানের শ্রমিকরা বক্তব্য দেন।

Comments