বন্ধ পাটকলের খালি জায়গায় চাষাবাদ হচ্ছে: বিজেএমসি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বন্ধ পাটকলের খালি জায়গায় চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস্‌ করপোরেশন (বিজেএমসি)।
ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বন্ধ পাটকলের খালি জায়গায় চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস্‌ করপোরেশন (বিজেএমসি)।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিজেএমসি উপস্থাপিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজেএমজির পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের বিষয়ে সরকারের কার্যক্রমের প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিকে দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জুলাই বিজেএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫ মিলের উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। এই মিলগুলো পরবর্তীতে ইজারা পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে লিজের জন্য নির্বাচিত ১৭টি পাটকলের মধ্যে ৬টি ইজারার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে দুটি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে। একটি স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করেছে।

বন্ধকৃত ৩টি নন-জুট মিলের মধ্যে একটি (জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.) 'জামদানি ভিলেজ স্থাপন' এবং 'ঢাকাই মসলিন হাউজ' প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২টি নন-জুট মিলসহ ইজারা না হওয়া ১১টি জুট মিল লিজ দেওয়ার জন্য আগ্রহীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে চূড়ান্ত প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে।

উৎপাদন বন্ধকৃত অবশিষ্ট ৫টি মিলের দুটি মামলাজনিত কারণে এবং ৩টি সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত থাকায় লিজ প্রদানে সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এসকল মিলের পুকুর, জলাশয়, গুদাম ইত্যাদি ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

চাষাবাদ করার বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- মিলগুলো বন্ধের পরে শ্রমিক কলোনি খালি হওয়ার পর এসব খালি জায়গা, লিজের জন্য নির্ধারিত মিলগুলোর লিজ এরিয়ার বাইরের খালি জায়গা এবং লিজের বাইরে থাকা অবশিষ্ট মিলের খালি জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী চাষাবাদের আওতায় এনে চাষাবাদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ বলেন, বিজেএমসি থেকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। তারা খালি জায়গায় চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে। পুকুর জলাশয়ে মাছ চাষ এবং পাড়গুলোতে বৃক্ষরোপণের কথা বলেছে। আজকের বৈঠকটি সংক্ষিপ্ত হওয়ায় কোন প্রক্রিয়ায় দিয়েছে সেটা আমরা জানতে পারিনি। আগামী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং নারায়ন চন্দ্র চন্দ অংশগ্রহণ করেন।

Comments