তীব্র শীতে কাতর লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম

শীত থেকে বাঁচতে নিন্ম আয়ের মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে খড়কুটোর আগুন। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

ভোর থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারদিক। দিরভর সূর্যের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরও ভয়াবহ। এমন অবস্থায় তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী ২ জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জনজীবন।

এই ২ জেলার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হিমেল ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম। নিদারুন কষ্টে আছেন ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, গঙ্গাধর, তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা।

এদিকে শীতের কামড় ঠেকাতে চরাঞ্চলে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের যোগান নেই। নেই নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য। তাই নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে তাদের ভরসা হয়ে উঠেছে খড়কুটোর আগুন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর সোনাইকাজী এলাকার কৃষক মহাব্বত আলী (৬০) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামরাগুলা (আমরা) খ্যাতোত কাজ কইরবার পাবার নাইকছোং না জারের (শীতের) ঠ্যালায়। জারের ঠ্যালায় হামরাগুলার শরিল টোপলা নাগি যাবার নাইকছে। জারোত হাত-পা টাডারি নাগে। কাইও কাইও খ্যাতোত কাজ কইরবার গ্যাইলেও ম্যালাক্ষণ থাইকবার পায় না।'

লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা নদীর চর কালমাটি এলাকার দিনমজুর ইউনুস আলী (৫০) বলেন, 'হামারগুলার কম্বল নাই। জাইবরা-জঙ্গল জড়ো করি আগুন ধরে দিয়া শরীল গরম কইরবার নাগছি। তাতে হামরাগুলা এ্যাকনা জার থাকি এ্যাকনা রেহাই পাই।'

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পযর্বেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ শনিবার সকাল ৯টায় এখানকার তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৬ দিন ধরে এখানে গড়ে প্রায় একইরকম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

তুহিম মিয়া বলেন, 'তবে রাতে ঠান্ডার প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

Modi gives forces ‘operational freedom’

Vows ‘crushing blow to terrorism’ after meeting top security brass; Pak FM fears ‘imminent incursion’

50m ago