সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন ভুক্তভোগীরা
বেপরোয়া বা অসাবধানতাবশত গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ক্ষতিপূরণ বাবদ অন্তত ৫ লাখ টাকা পাবে।
সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর নতুন প্রণীত নিয়ম অনুযায়ী, যারা দুর্ঘটনায় কোনো অঙ্গ হারাবেন বা মারাত্মক আঘাতের শিকার হবেন, তারা প্রত্যেকে ৩ লাখ টাকা করে পাবেন। আর যারা আঘাত থেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তারা পাবেন ১ লাখ টাকা।
ক্ষতিপূরণ দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে ১২ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড। সরকারের কাছ থেকে অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়াতে বা কমাতে পারবে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সড়ক আইন প্রণয়নের ৪ বছরেরও বেশি সময় পর গত ২৭ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ এই বিধির ওপর একটি গেজেট প্রকাশ করে।
বিধি না থাকায় ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ধারাসহ আইনটির একাধিক ধারা এতদিন প্রয়োগ করা যায়নি।
নতুন নিয়মে কোনো গাড়ির মালিককে ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ন্ত্রিত ক্ষতিপূরণ তহবিলে কত টাকা দিতে হবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ২০২২ সালের অক্টোবরে বোর্ডটি গঠন করা হয়। কিন্তু নতুন নিয়ম প্রণয়ন না করায় বোর্ড এতদিন তাদের কাজ করতে পারেনি।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য 'ডিমেরিট পয়েন্ট'র ব্যবস্থাও রয়েছে।
আইন অনুযায়ী, প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ১২ পয়েন্ট থাকবে এবং প্রতিবার ট্রাফিক লঙ্ঘনের জন্য এক বা দুই পয়েন্ট কাটা হবে। যদি কোনো চালকের ১২ পয়েন্ট কাটা যায়, তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দেওয়া বিভিন্ন সেবার জন্য ফিও পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ, কর্তৃপক্ষ অনেক ফি বাড়িয়ে দিয়েছে।
আইন অনুযায়ী, হেলপার নামে পরিচিত বড় যানবাহনের কন্ডাক্টরদের অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কন্ডাক্টরদের অবশ্যই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা থাকতে হবে এবং তাদের বয়স ২০ বছরের বেশি হতে হবে।
২০১৮ সালের জুলাই ও আগস্টে সারা দেশে নিরাপদ সড়কের জন্য বিক্ষোভের পরে আইন প্রণেতারা সড়ক পরিবহন আইনটি পাস করেছিলেন।
তবে পরিবহন সমিতিগুলোর চাপের কারণে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত আইনটি কার্যকর করা হয়নি।
সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Compensation For Death, Injury: Road crash victims can now legally claim it
Comments