পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২০ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে। আজ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাগলা মসজিদ
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে চলছে টাকা গণনা | ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে। আজ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছে।

তিনি বলেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকে দানবাক্স খোলা হয়েছে। ৮টি দানবাক্স খুলে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনা চলছে।

গত বছরের ১ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্স খুলে ১৫ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় অনুদান দেওয়া হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

পাগলা মসজিদে মোট ৮টি লোহার দানবাক্স আছে। প্রতি ৩ মাস পর পর বাক্স খোলা হয়।

Comments