যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক যোগাযোগ বাড়ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। স্টার ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে 'গঠনমূলক ও 'ইতিবাচক' ভাবে 'অনেক ভালো সম্পর্ক' গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশে কয়েকজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার সফরের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা খুবই খুশি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক যোগাযোগ বাড়ছে।'

বর্তমানে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার এডমিরাল ইলিন লব্যাচার বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা খুবই খুশি যে, তারা (মার্কিন কর্মকর্তারা) এদেশে আসছেন।'

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো অভিন্ন মূল্যবোধ ও আদর্শে বিশ্বাসী বিধায়, ঢাকা ওয়াশিংটনের সাথে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুমুখী সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং দেশ দুটি শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, জলবায়ু ইস্যু ও সমুদ্রিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে একসাথে কাজ করছে। তিনি বলেন, যখন কোনো বন্ধুরাষ্ট্র যথাযথ চ্যানেলে কোনো ইস্যু উত্থাপন করে বা কোনো ব্যাপারে পরামর্শ দেয়, তখন ঢাকা তার পক্ষ থেকে সেই শূন্যতা পূরণ বা দুর্বলতা ঘোঁচাতে সব সময়ই পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে মোমেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

তারপরও তিনি বলেন, 'যদি কোথাও কোনো ঘাটতি থাকে, তারা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে তা অবহিত করলে, আমরা তা সমাধান করব। আর এ ব্যাপারে আমরা খুবই ইতিবাচক।'

গত তিন বছরে বাংলাদেশে কোনো গুমের ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে এক্ষেত্রে একটি অনেক বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিওন (র‌্যাব) এর উদাহরণ টেনে মোমেন বলেন, 'হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়। যদি কেউ কোনো সমস্যা করে,  আমরা সেই বিষয়টি দেখি।'

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণই বর্তমান সরকারের প্রধান বিবেচ্য বিষয়। মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রাখতেও নিরাপত্তা জরুরি। তিনি বলেন, 'তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমুদ্র সীমা অধিকতর নিরাপদ রাখতে আমাদের সহয়তা করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago