যে উড়োজাহাজে ফিরে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু

এই উড়োজাহাজে করে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতাকে লন্ডন থেকে তার মুক্ত মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। বিশিষ্ট আইনবিদ ও রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের মতে, উড়োজাহাজটি ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি সকাল ৭টায় যুক্তরাজ্য ত্যাগ করে এবং দিল্লিতে ট্রানজিট নিয়ে দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটের দিকে ঢাকায় অবতরণ করে। ছবি: তারিক সুজাতের সৌজন্যে

পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই তিনি সেখানে বন্দি। এদিকে তার জনগণ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছে।

এরপর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। পূর্ব পাকিস্তান হয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ অবশেষে মুক্তি দেয় বঙ্গবন্ধুকে। পরবর্তীতে তাকে মাতৃভূমিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি উড়োজাহাজের ব্যবস্থা করা হয়।

অসাধারণ এই ঘটনার স্মৃতি বহনকারী উড়োজাহাজটির ঠাঁই হয় জার্মানির একটি জাদুঘরে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সেবায় ব্যবহৃত উড়োজাহাজটি কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে বহন করে জাদুঘরে পৌঁছালো, তা বলার মতো একটি গল্প।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে, কয়েকজন বাংলাদেশি ঐতিহাসিক কমেট জেট (ডিএইচ১০৬ কমেট ৪সি) প্রদর্শনের জন্য একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র প্রস্তুত করতে হার্মেসকিলের জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন। এই উড়োজাহাজটি রয়্যাল এয়ার ফোর্সের অন্তর্গত ছিল।

'বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: কমেট বিমান ও ব্রিটিশ গোপন দলিল' বইয়ের লেখক তারিক সুজাত বলেন, 'আমরা প্রদর্শনী কেন্দ্রের বিষয়ে আলোচনা করছি। এই উড়োজাহাজটি বঙ্গবন্ধুকে তার স্বদেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে জানতে পেরে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ আনন্দিত হয়েছে।'

২০২১ সালে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ তারিকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি পাঠিয়ে নিশ্চিত করে, উড়োজাহাজটি তাদের কাছে রয়েছে।

তারিক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত খুশি হয়েছেন এবং আশ্বস্ত করেছেন যে, জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেখানে প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।'

তারিক বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য সম্পর্কিত নথি, ছবি, টেলিগ্রাম ও লেখা প্রদর্শনীর জন্য সরবরাহ করা হবে।'

উড়োজাহাজটি যেভাবে জাদুঘরে

১৯৭৫ সালে রয়েল এয়ারফোর্স উড়োজাহাজটি বিক্রি করে ব্রিটিশ বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা ডিএএন-এয়ার সার্ভিসের কাছে। এর নতুন মালিক উড়োজাহাজটির নকশা ও রঙ পরিবর্তন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে এয়ার ক্লাসিক এটি কিনে নেয়। ২টি এয়ারলাইনসই পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সঙ্গে একীভূত হয়।

জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা লিও জুনিয়র ১৯৯৬ সালে নিলামে উড়োজাহাজটি কেনেন এবং এরপর থেকেই সেটি জাদুঘরে রয়েছে।

২০২১ সালের অক্টোবরে তারিক জাদুঘর দেখতে গিয়ে উড়োজাহাজটি দেখতে পান এবং লক্ষ্য করেন যে এর ডিএএন-এয়ারের ব্যবহৃত লিভারি এখনো একই আছে। উড়োজাহাজটির ককপিট থাকলেও যাত্রী আসনগুলো নেই।

সংক্ষেপিত: পুরো প্রতিবেদনটি The plane that brought Bangabandhu home লিংকে।

Comments

The Daily Star  | English

Opening aid corridors, leasing out ports not this govt’s job

Making decisions on a “humanitarian corridor” to Rakhine and leasing out container terminal of Chittagong Port to foreign companies are not the interim government’s job, said BNP acting chairman Tarique Rahman last night.

3h ago