'শনিবার বিকেল' সিনেমার সেন্সর আপিল শুনানি ২১ জানুয়ারি

শনিবার বিকেল সিনেমার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র সেন্সর আপিল কমিটি আগামী ২১ জানুয়ারি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত 'শনিবার বিকেল' সিনেমার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছে।

এর আগে ১৫ সদস্যের সেন্সর বোর্ড ২০১৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে সিনেমাটি প্রদর্শনের উপযোগী নয় বলে মত দিয়েছিল।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ একাধিকবার বলেন, 'সেন্সর বোর্ডের মতে সিনেমাটি ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ওপর নির্মিত। অথচ সেখানে দেশের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা যে জীবন দিয়ে অসহায় জিম্মিদের উদ্ধার করেছে, ২ জন পুলিশ সদস্য প্রাণ দিয়েছে, সেটিই অনুপস্থিত। সেজন্য এই দৃশ্যগুলো সংযোজন করতে বলা হয়েছে।'

চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড প্রতিবেদনে সিনেমাটিতে 'সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মানুষের প্রাণরক্ষায় জীবনদানের বিষয়টির অনুপস্থিতি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি, অপরাধ ও আইনহীনতা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সংলাপ' নিয়ে সদস্যরা মতামত দেন। 

পরে ২০২০ সালে 'শনিবার বিকেল' প্রযোজক জাজ মাল্টিমিডিয়া সিনেমাটিতে কিছু দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে দাবি করলে বোর্ড সেটি দেখে কোনো সংযোজন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়ে দেয়। গত আগস্ট মাসে জাজ আপিল শুনানির আবেদন করে। ফারুকীসহ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা সিনেমাটি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দেন।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আপিল কমিটি ও সেন্সর বোর্ডকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কয়েক দফা কথা বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে সভাপতি এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৭ সদস্যের সেন্সর আপিল কমিটিতে সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বিশিষ্ট অভিনেত্রী সুচরিতা ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত সদস্য হিসেবে এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য সচিব হিসেবে আছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago