পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ, সরাসরি উত্তর দেননি হিনা

এ কে আব্দুল মোমেন, হিনা রব্বানি, পাকিস্তান,
শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাক্ষাৎ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, হিনা রব্বানি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর কথা বলেছেন। কিন্তু, ১৯৭১ সালের গণহত্যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হলে তিনি এভয়েড করে যান, সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।

শ্রীলঙ্কায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হিনা রব্বানির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে আজ রোববার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মোমেন বলেন, 'উনি (হিনা রব্বানি) আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চান। আমি বলেছি সম্পর্ক বাড়ানোর একটাই সুযোগ, আপনারা ১৯৭১ সালে যে গণহত্যা করেছেন, সেজন্য পাবলিকলি ক্ষমা চান।'

জবাবে হিনা রব্বানি কী বলেছেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মোমেন বলেন, 'ওইটা তিনি একটু এভয়েডও করেছেন। সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। উনি বলেছেন, ওনাদের কিছু লিমিটেশন আছে। আমি বলেছি, আমাদের এখানেও লিমিটেশন আছে।'

'তাদের অ্যাটুচিউড খুবই পজিটিভ। তারা শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে নয়, সারা ভারতবর্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাচ্ছে। উনি বললেন, উনি যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে একটি আঁতাত করেছিলেন।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ব্যবসাটা একপক্ষীয় হয়ে গেছে। আমরা তো পাকিস্তানে ১০০ মিলিয়নের কম এক্সপোর্ট করি। তারা প্রায় ৮০০-৯০০ মিলিয়ন এক্সপোর্ট করে। আমি বললাম, এটাতো ঠিক না। আপনারা আমাদের কিছু জিনিস নেন। কারণ তারা অনেকগুলো রেস্ট্রিকশন দেয়, অ্যান্টিড্যাম্পিং দিয়ে রাখছে। এগুলো উইথড্র করেন। আপনি সম্পর্ক বাড়াতে চান, প্রথম ইকোনমিক এরিয়াতে করতে হবে। আপনার যে গণহত্যা করেছেন সেটার একটা ঘোষণা দিতে হবে। আলোচনা এই পর্যায়ে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Strategies we can employ in tariff talks with the US

Strategies we can employ in tariff talks with the US

We must realise that the US has started the tariff war with a political agenda.

5h ago