‘এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা’

এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

নতুন মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, 'আমার জন্য মন্ত্রিত্ব একটা বিশেষ সুযোগ ছিল এবং এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই হয়েছিল।'

কেন তাকে এবার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হলো, জানতে চাইলে মোমেন টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি সুযোগ দিয়েছিলেন এবং আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত পাঁচ বছর আন্তরিকতা, সততা ও আমার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি।'

'এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা,' বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আব্দুল মোমেনের সময়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারি ও গত দুই বছর বাংলাদেশ মানবাধিকার, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে নতুন করে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে হয়েছে। 

তার সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের ওপর নতুন ভিসা নীতি জারি করে।

মন্ত্রী আব্দুল মোমেন প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তার অকপট বক্তব্যের কারণে। অনেকেই বলেছিলেন যে তিনি 'কূটনৈতিকভাবে যথেষ্ট পরিপক্ক নন।'

মোমেন অবশ্য মনে করেন, বিশ্বের সেরা কূটনীতিকরা সবসময়ই অকপট, খোলামেলা ও দৃঢ়চেতা।

তিনি বলেন, 'আমি ওপেন, আমার লুকানোর কিছু নেই।'

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার অফিস ছিল এবং তাকে সহযোগিতার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

মোমেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্রিফিংগুলো আমি সবসময় তাদের লিখতে বলেছি এবং বারবার সেগুলো ঠিক করতে বলেছি। তাই, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।'

'পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন আমি অর্থনৈতিক কূটনীতি, জন-কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে মনোযোগ দিয়েছি,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমি আশা করি এই নীতিগুলো আমাদের সোনার বাংলার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।'

'এখন নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে জনগণের সেবা করব এবং বৃহত্তর কল্যাণে নীতিনির্ধারণী কাজে সহযোগিতা করব,' যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পঞ্চম মেয়াদের নতুন সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 

সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও নেই নতুন মন্ত্রিসভায়। তবে, নতুন মন্ত্রিসভায় এ মন্ত্রণালয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

9h ago